৬০ দিনের মধ্যে ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচন, খালেকের প্রার্থিতা বৈধ
![৬০ দিনের মধ্যে ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচন, খালেকের প্রার্থিতা বৈধ](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/court6-20220811210025.jpg)
ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আব্দুল খালেকের আর কোনো বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
একই সঙ্গে, আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করতে বলেছেন আদালত। গত ১২ জুন এই নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। আব্দুল খালেকের করা রিট আবেদনে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এই রায় দেন আদালত।
আদালতে এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিরি সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও এমএস সাঈদ আহমেদ রাজা। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ খান।
ইসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম। অন্যদিকে আরেক প্রার্থীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মুরাদ রেজা ও অ্যাডভোকেট এবিএম ইলিয়াস কচি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে গত ২ জুন আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানির পর আব্দুল খালেকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ৮ জুন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেন। এরপর ১২ জুন ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন, ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে বলেছেন হাইকোর্ট। আর নৌকার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদের প্রার্থী মো. আব্দুল খালেক ও তার সমর্থকরা মিছিল-শোভাযাত্রা করে ১৮ মে অপর প্রার্থী মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেন। এটি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদীর প্রচারাভিযানে বাধা দেওয়ায় আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা চাওয়ার পর তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
নির্বাচনে অন্য প্রার্থীরা হলেন, নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, মোবাইল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মাসুম ও হাত পাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম।
এফএইচ/কেএসআর/এএসএম