১০ আসামিকে নিরাপত্তা দিয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে নেওয়ার নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২২
ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগে করা মামলার ১০ আসামিকে নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে নিয়ে যেতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আসামিরা যেন নিজেরা নিজেদের ওকালতনামা দাখিল ও জামিন শুনানি করতে পারেন সেই সুযোগ দেওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আসামিরা হলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার খালের পাড় গ্রামের মো. রাসেল মিয়া, মো. জুবায়ের মিয়া, মো. ফাইজুল ইসলাম, মো. কফিল উদ্দিন, মো. রাজিব মিয়া, মো. রুবেল মিয়া, মো. সোহেল মিয়া, মো. নজরুল ইসলাম, মো.আব্দুল মালেক ও মো. আ: কাইয়ুম (ধনু মিয়া)।

হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামসুদ্দিন বাবুল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) আসামিদের আইনজীবী সামসুদ্দিন বাবুল আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জমি-জমাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধের জেরে কিশোরগঞ্জ আদালত চত্বরে উকিল সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকের এক পর্যায়ে মারধরের অভিযোগ এনে গত ১২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুর রউফ মামলা দায়ের করেন। ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এই মামলা করা হয়।

মামলায় গত ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট ১০ জনকে জামিন দেন। একই সঙ্গে ছয় সপ্তাহের মধ্যে তাদের কিশোরগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু মামলার বাদী কিশোরগঞ্জ আইনজীবী সমিতির প্রভাবশালী সদস্য হওয়ায় কোনো আইনজীবী আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানি করতে রাজি হচ্ছেন না।

এছাড়া আসামিরা আদালতে যেতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ অবস্থায় কিশোরগঞ্জ আদালত থেকে এই মামলা অন্য জেলার আদালতে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করা হয়। এই আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্ট ১০ জনকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

এফএইচ/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।