সাহেদের মানিলন্ডারিং মামলা বিচারের জন্য বদলি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ফাইল ছবি

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মানিলন্ডারিং আইনের মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা ইসলাম মল্লিক ‘মামলার চার্জশিট দেখিলাম’ মর্মে সই করেন। এরপর মামলার পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রমের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান চার্জশিট দাখিল করেন।

আরও পড়ুন: সাহেদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলায় চার্জশিট

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭০ টাকা আত্মসাৎ করেন সাহেদ। এর বাইরে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জাল সনদ সরবরাহ করে আরও ৩ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার ২২৭ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। সব মিলিয়ে তিন বছরে তার প্রতারণালব্ধ অর্থের পরিমাণ ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা। এরমধ্যে ৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা তিনি ভোগবিলাসে খরচ করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাহেদের বিরুদ্ধে করোনার ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ, বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পায় সিআইডি। এরপর ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার সিআইডি বাদী হয়ে মামলা করে।

ধানমন্ডি থানায় দুটি, পল্লবী থানায় একটি, বরিশালে একটি, বিডিএস কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরির নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণার কারণে উত্তরা থানায় আটটি মামলাসহ সাহেদের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ৩২টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

জেএ/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।