ড. সাবরিনার জামিন শুনানি ২০ জুন পযর্ন্ত মুলতবি
করোনার ভুয়া রিপোর্টের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আলোচিত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরীর জামিন আবেদন শুনানি ২০ জুন পর্যন্ত মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন হাইকোর্ট। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য থাকবে। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও শাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ড. সাবরিনার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসউদ উল হক। রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
ড. সাবরিনার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসউদ উল হক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলাম। ওই আপিলে জামিন চেয়েছিলাম ড. সাবরিনার। সেখানে জেলা জজ কোর্টে জামিন না হওয়ায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আপিল করি। আজ সেই আপিলের শুনানি ২০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।
এর আগে ২০২২ সালের ১৯ জুলাই করোনার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার মামলায় ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডিত অপর ছয় আসামি হলেন জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা।
করোনার নমুনা জালিয়াতির মামলায় সাবরিনা, আরিফুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল, কর্মচারী হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ। পরদিন ২৪ জুন হুমায়ুন ও তানজিনা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
একই বছরের ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।
এফএইচ/জেএইচ/জেডএইচ/জেআইএম