ইভ্যালির রাসেলের জামিন চেম্বারে বহাল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ১১ জুন ২০২৩
ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানি নিয়ে রোববার (১১ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম, অ্যাডভোকেট এম. সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

বুধবার (৭ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছিল বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে জামিন দেন হাইকোর্ট। গত ৬ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওইদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আহসানুল করীম। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ খান ও ব্যারিস্টার মো. আনোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।

প্রতারণার দায়ে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গ্রেফতার হন। ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব। পরে অবশ্য শামীমা জামিনে মুক্তি পান।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় এ মামলা করেন। মামলায় রাসেল-শামীমা দম্পতিসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইভ্যালি থেকে ইলেকট্রনিকস পণ্য কেনার জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা পাঠান অভিযোগকারী। ইভ্যালির অর্ডার দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও সাত মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি তা পাননি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার দাস গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় চলতি বছরের ২ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।

গত ১৪ মে এ মামলায় মোহাম্মদ রাসেলের জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়। আদেশের জন্য গত ১৫ মে দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।