মানবতাবিরোধী অপরাধ

শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন সাতক্ষীরার ২ আসামি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৩
ফাইল ছবি

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দুই আসামিকে শর্তসাপেক্ষে জমিন মঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- আজিজ হাসান ও জি এম মহিউদ্দিন।

জামিনে তাদের বিভিন্ন শর্ত যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। জামিনের শর্তে রয়েছে, কোনো সাক্ষীর সঙ্গে দেখা বা হুমকি দিতে পারবেন না, বিদেশ যেতে পারবেন না, নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে এবং যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেই ঠিকানায় বসবাস করতে হবে।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি ও প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

এ মামলার বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৩ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত। ওইদিন মামলায় (ফরমাল চার্জ) অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এরই ধারাবাহিকতায় এটি শুনানিতে আসেবে।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান বাদল। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি ও প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন গাজী এমএইচ তামিম।

২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের এস এম মহসিন উল মুলক, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জি এম মহিউদ্দিন, মো. ফজর আলী গাজী ও শ্রীফলকাটির আব্দুল কুদ্দুস গাজী ও আজিজ হাসান। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, পলাতক আসামিরা আত্মগোপনে যেতে পারেন- এমন আশঙ্কায় অন্য আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার চার আসামিকে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের সুরেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নদীর পাড়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে উল্লিখিত চারজনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল মামলা করেন সুরেন্দ্রনাথ মণ্ডলের মেয়ে চন্দনা রাণী মণ্ডল। পরে এ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।