ধর্ষণের পর শিশু ইতিকে হত্যা: আপিল বিভাগের রায় ১৫ নভেম্বর
![ধর্ষণের পর শিশু ইতিকে হত্যা: আপিল বিভাগের রায় ১৫ নভেম্বর](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/gfdg-20231108210713.jpg)
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের নয় বছরের শিশু ফাতিমা আক্তার ইতিকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আপিলের শুনানি শেষে বুধবার (৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চে আগামী ১৫ নভেম্বর রায়ের দিন ঠিক করেন।
আদালতে আজ আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
এ মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ঝাটিবুনিয়া গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে ফাতিমা আক্তার ইতি পাশের বুখাইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো। সে স্থানীয় হাতেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সকালে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বিদ্যালয়ের মাঠে যায় ইতি। পরদিন দুপুরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত শিশুটির বাবা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সে মামলায় পুলিশ মেহেদী ও সুমনকে আটক করে। পরে সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০১৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শিশু ইতিকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তার মামাতো ভাই মেহেদী হাসান ওরফে স্বপন ও একই গ্রামের সুমন জমাদ্দারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করে জরিমানার অর্থ নিহত শিশুর বাবা-মাকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৩০ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এসএম আব্দুল মুবিনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের খালাসের দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
এফএইচ/এমএইচআর/জিকেএস