বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের হাইকোর্ট

আপনারাও সংসদে ছিলেন, শত বছরের জেলকোড সংশোধন করেননি কেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৫ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি অসুস্থ আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদালত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আদেশ দেবেন।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

আইনজীবীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫২ বছর। এ সময়ে অনেক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে, আবার বিদায়ও নিয়েছে। কিন্তু শত বছরের পুরোনো জেলকোড সংশোধন করেনি। আপনারাও সংসদে ছিলেন, শত বছরের পুরোনো জেলকোড সংশোধন করেননি কেন?

আরও পড়ুন>>> বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানি শেষ, আদেশ কাল

নাশকতার মামলায় গ্রেফতার যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানোর ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানিতে রোববার (৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

রিটকারীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, জেলকোড একশ বছরের পুরোনো। কিন্তু এ আইনে কোনো ধরনের সংশোধন করা হয়নি আজও।

এ পর্যায়ে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বলেন, আপনারা (রাজনীতিক) তো জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে সংসদে যান। কিন্তু মানুষের কল্যাণে কতটুকু কাজ করেন? দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু আজও কেন জেলকোড সংশোধন করে যুগোপযোগী আইনে পরিণত করতে পারলেন না। তিনি বলেন, আমাদের দেশের সংস্কৃতি ভিন্ন। সংবিধানে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হলেও তা আইন দ্বারা নির্ধারিত।

এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির মধ্যে মানবসত্তার মর্যাদা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এ নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেই চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি একটি মামলায় জামিন পেলেও তাকে অন্য মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।

আইনজীবী বলেন, সানাউল্লাহ মিয়া কয়েক বছর আগে মারা গেলেও তাকে নাশকতার মামলার আসামি করা হয়েছে। সরকার প্রতিনিয়তই সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন করে চলেছে। আদালত বলেন, ডান্ডাবেড়ি কোন ধরনের আসামিকে পরানো যাবে সে বিষয়ে অ্যাপেক্স কোর্টের গাইডলাইন রয়েছে। শুনানি শেষে হাইকোর্ট সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেফতার যশোর যুবদলের নেতা আমিনুল ইসলাম মধুকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।