নথি জালিয়াতি

আদালতের রেকর্ড কিপার-সেরেস্তাদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

মামলার মূল নথি আদালতের রেকর্ড রুম থেকে সরিয়ে সেখানে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা কাগজপত্র রাখার অভিযোগে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রেকর্ড কিপার ও সেরেস্তাদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক জেলা রেকর্ড কিপার মো. রুহুল আমিন ভূইয়া, সাবেক জেলা রেকর্ড কিপার মো. হুমায়ন কবির, ঢাকার তৃতীয় সহকারী জেলা জজ আদালতের সেরেস্তা সহকারী মো. আবুয়াল আউয়াল, যুগ্ম জেলা জজ তৃতীয় আদালতের অফিস সহায়ক মো. বিলাল হোসেন, ঢাকার প্রথম সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার তাহমিনা আক্তার, প্রথম সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার মো. কামরুজ্জামান, ঢাকার তৃতীয় সহকারী জজ আদালতের অফিস সহায়ক মো. মহসিন আলী, সুফিয়া বেগম, মোছা. রাজিয়া খাতুন ও শহিদুল্লাহ আব্দুল মজিদ।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী নিজেই বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির কার্যক্রম সংঘটিত হয় বলে রেকর্ডপত্রে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়। তারা বিভিন্ন মামলার নথি রেকর্ড রুম থেকে সরিয়ে সেখানে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে তা প্রতিস্থাপন করতো। আদালতের রেকর্ড রুমের চারজন এবং প্রথম সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার তিনজনের হাতের লেখা সিআইডির পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তাদের হাতের লেখার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। তারা প্রত্যেকে একে অন্যের সহযোগিতায় জালিয়াতির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে রেকর্ডপত্রে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়।

এজাহারে আরও বলা হয়, তারা দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনকালে সরকারি রেকর্ড তথা দেওয়ানী ৪৫৫/১৯৮০ ও ৫৫০/১৯৮৫ নম্বর মোকদ্দমার নথি দুটির আর্জি, আদেশসমূহ ও রায় ডিক্রি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজন করে মূল নথি দুটি রেকর্ডরুম থেকে সরিয়ে ফেলে জাল-জলিয়াতির মাধ্যমে তৈরি নথি দুটি প্রতিস্থাপন করে এবং প্রথম সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তায় সংরক্ষিত স্যুট রেজিস্ট্রারের সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠাটি পরিবর্তন করে ভিন্ন পাতা সংযোজন করে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এছাড়া মামলার তদন্তকালে আলোচ্য ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো ব্যক্তিবর্গের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও মামলার এজাহারে বলা হয়।

জেএ/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।