শ্রম আইন লঙ্ঘন

ড. ইউনূসসহ ৪ জনের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন বৃহস্পতিবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিষয়ে আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দিন ধার্য রয়েছে।

বিবাদীপক্ষের আইনজীবীর ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত ড. ইউনূসসহ চারজনের বিষয়ে যুক্তিতর্ক শুনানির নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। ওইদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অসমাপ্ত থাকায় পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক।

যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় বিষয়ে আদালত ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে জানকে তিনি বলেন, এ মামলায় আমরা ২০টি লিগ্যাল সাবমিশন রাখবো। এজন্য অন্তত তিনদিন সময় প্রয়োজন।

এসময় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, আপনারা যেভাবে যুক্তি উপস্থাপন করছেন তাতে শ্রম আদালতে রেকর্ড করবেন। তখন ব্যারিস্টার মামুন বলেন, আপনারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একজন মানুষের বিচার এখানে করছেন। এটাও একটা রেকর্ড। এসময় আদালত বলেন, আপনারা দুপক্ষ যেটা করছেন, এটা লেবার কোর্টে কখনো হয়নি।

গত ৬ ডিসেম্বর এ মামলায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। ওইদিন ড. ইউনূস সপ্তমবারের মতো আদালতে হাজির হন।

ওইদিন আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

গত ১৬ নভেম্বর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এরপর গত ২০ নভেম্বর ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।

গত ৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন আদালত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চারজন আসামির ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন রাখেন।

গত ২ নভেম্বর এ মামলায় চতুর্থ সাক্ষী মো. মিজানুর রহমান আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর ৬ নভেম্বর তাকে আসামিপক্ষ জেরা করেন। এরআগে গত ২৬ অক্টোবর তৃতীয় এবং ১৮ অক্টোবর এ মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হাদিউজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামকে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।

এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।