মেঘনার বালু তুলতে পারবেন না সেলিম চেয়ারম্যানের ভাই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫১ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
ফাইল ছবি

চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনে আলোচিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খানের ভাই বোরহান খানকে হাইকোর্টের দেওয়া অনুমতির আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এর ফলে মেঘনা নদী থেকে বালু তুলতে পারবেন না বোরহান খান।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন বোরহান খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। অন্যদিকে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বোরহান খানকে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্টৃপক্ষ।

আরও পড়ুন>> মেঘনা থেকে বালু তুলতে পারবেন না সেলিম খান

২০২২ সালের ২২ অক্টোবর চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের ছেলে শান্ত খানকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের ২০২০ সালের একটি রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

মেঘনা নদীতে (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অবস্থিত ২১টি মৌজা এলাকায়) জনস্বার্থে নিজ খরচে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান। ওই রিট নিষ্পত্তি করে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনে সেলিম খানকে অনুমতি দিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ১৫ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এরপর আপিল করা হয় এবং আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ২৯ মে সেলিম খান বালু উত্তোলন করতে পারবেন না বলে রায় দেন আপিল বিভাগ।

এফএইচ/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।