বিএনপির ৭ আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার শুনানি আজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতির পদত্যাগে আল্টিমেটাম দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ও তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আজ।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ১৫ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৯ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালত অবমাননার শুনানিতে যুক্ত হওয়ার জন্য সকাল ৯টায় বিএনপির সাত আইনজীবী আপিল বিভাগে উপস্থিত ছিলেন। তবে এই মামলা শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেন। শুনানিতে বিএনপিপন্থি সিনিয়র অ্যাডভোকেট সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী আদালতে বলেন, আমাদের ২ জন আইনজীবী দেশের বাইরে যাবে (ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল)। তখন এ জে মোহাম্মদ আলী একটু বেশি দিন সময় চান। প্রথমে আদালত ২৮ জানুয়ারি তারিখ রাখতে চান, পরে আদালত ২৯ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

এ বিষয়ে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি মহোদয়ের এখতিয়ার আছে যে কোনো আইনজীবীকে ডাকার। সেই এখতিয়ার বলে আমাদের ডেকেছেন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আছি এবং থাকবো। যে কারণে আমরা আজ যথারীতি ৯টা মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলাম।

আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে আদালত অবমাননার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীকে তলব করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ১৫ জানুয়ারি সকাল ৯টায় আপিল বিভাগে (১ নম্বর কোর্টে) তাদের সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়।

আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠা বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি,জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট (ইউনিটের) শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুই বিচারকের পদত্যাগ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীকে আদালত অবমাননার ব্যাখ্যা দিতে বলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত বছরের ১৫ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশের বিষয়েও সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে চলার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

২০২৩ সসলের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সংবিধান অনুসারে বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে বিএনপিপন্থি আইনজীবী নেতারা মিছিল-সমাবেশও করেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ২৭ আগস্ট ওই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে দেওয়া বক্তব্যের কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করে ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা আদালত অবমাননার আবেদনটি করেন। এতে বিচারপতিদের নিয়ে ব্যানার, লিফলেটসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মিছিল ও অবস্থানের ছবি যুক্ত করা হয়।

এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।