প্রতিবন্ধী মোকলেছারের চাকরি সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৯ এএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ফাইল ছবি

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে নন-মিল জোন আখচাষ জোরদারকরণ প্রকল্পে কাজ করা নওগাঁর প্রতিবন্ধী মো. মোকলেছার রহমানের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২৩ জানুয়ারি করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এ বিষয়ে আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ২০০৫ সালের ২৩ জুন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মিল জোন ইক্ষু চাষ জোরদারকরণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) এম,এইচ,এটি প্ল্যান্ট অপারেটর পদে নিয়োগ পান নওগাঁর সদর উপজেলার মো. মোকলেছার রহমান। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। মোকলেছার রহমানকে একই বছরের ২৬ জুন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা কৃষি অফিসে পোস্টিং দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রকল্প সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত তিনি এ পদে চাকরিতে ছিলেন। তবে এর মধ্যে ২০০৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নন-মিল জোন ইক্ষুচাষ জোরদারকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) কর্মরত ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনের চাকরি রাজস্বখাতভুক্ত করে আত্তীকরণ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রতিবন্ধী মোকলেছার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তার চাকরি রাজস্বখাতভুক্ত করা হয়নি। এরপর তিনি চাকরি রাজস্বখাতভুক্ত করার জন্য দীর্ঘ দিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হন। গত ২৩ জানুয়ারি রাজস্বখাতভুক্ত করে তার চাকরি আত্তীকরণ চেয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বরাবর আবেদন করেন।

এতেও কোনো সাড়া না পেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মোকলেছার।

আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মিয়া আরও বলেন, একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবে নাগরিক সুরক্ষা, সমতা ও অধিকার পাওয়ার হকদার ছিলেন মোকলেছার। কিন্তু তার চাকরি রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত করে আত্তীকরণ করা হয়নি। এতে তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। আর চাকরির ক্ষেত্রে সমান অধিকার প্রাপ্তিতে মোকলেছারকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ২(২০) অনুসারে ‘বৈষম্য’ অর্থ প্রতিবন্ধীদের প্রতি সাধারণ ব্যক্তিদের তুলনায় অন্যায্য আচরণ এবং এক বা একাধিক কর্মকাণ্ড অন্যায্য আচরণের অন্তর্ভুক্ত হবে।

এই আইন অনুযায়ী, মোকলেছারের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে তাকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ কারণে রিট দায়ের করেছেন তিনি। আশা করছি উচ্চ আদালত থেকে মো. মোকলেছার রহমান ন্যায় বিচার পেয়ে চাকরি ফিরে পাবেন।

এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।