মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেরপুরের নকলা উপজেলার তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডিতরা হলেন, এ কে এম আকরাম হোসেন, এস এম আমিনুজ্জামান ফারুক ও মোখলেসুর রহমান ওরফে তারা।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল।
প্যানেলের অন্যান্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশন টিম থেকে শুনানি করেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রায়ের জন্য সোমবার দিন নির্ধারণ করা হয়।

নকলার চার রাজাকারের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। একই বছরের ৩১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ দাখিল করা হয়। ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। চারজনের মধ্যে বিচার চলাকালে আসামি এমদাদুল হক খাজা মারা যান।

রাষ্ট্রপক্ষের তথ্যমতে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিন আসামি স্থানীয় নকলা আলবদর বাহিনীর নেতা ও সদস্য ছিলেন। রায় ঘোষণার দিন থাকায় কারাগারে থাকা তিন আসামিকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জাগো নিউজকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুরের নকলা থানা এলাকায় অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও নিরস্ত্র বাঙালিদের দিয়ে জোর করে রাজাকার ও পাকিস্তান বাহিনীর ক্যাম্পে বাংকার তৈরি করানোর মতো চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) মোট ১৩ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেছেন।

এর মধ্যে তিনটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অবশ্য নিরস্ত্র বাঙালিদের দিয়ে জোর করে রাজাকার ও পাকিস্তান বাহিনীর ক্যাম্পে বাংকার তৈরির কাজ করানোর মতো অভিযোগ থেকে তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান জাগো নিউজকে বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন আসামিরা।

মহান মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে এ নিয়ে এক যুগের বেশি সময়ে ৫৫টি মামলার রায় এলো। এসব মামলায় দণ্ডিত আসামি ১৫২ জন।

এফএইচ/জেডএইচ/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।