পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মির্জাপুরের ম্যানেজারকে বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর শাখার শাখা ব্যবস্থাপক/ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামানকে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (১৯ ফেব্রয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। পরে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া।

তিনি বলেন, অর্থ আত্মসাৎ ও তছরুপের দায়ে পল্লী সঞ্চয়ী ব্যাংকের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর শাখার তিনজন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং ওই শাখার শৃঙ্খলা রক্ষায় চরম অদক্ষতা এবং উদাসিনতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২ অক্টোবর একটি বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরে গত ১১ জানুয়ারি তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামানকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। কামরুজ্জামানের অধীনে থাকা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনা হলে তিন কর্মচারীর পাশাপাশি তাকেও বরখাস্ত করে পল্লী সঞ্চয়ী ব্যাংক। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আরেকটি প্রতিষ্ঠানের তদন্তে মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে পল্লী সঞ্চয়ী ব্যাংকের ওই বরখাস্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মো. কামরুজ্জামান।

আজ ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত মো. কামরুজ্জামানের বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এফএইচ/এমএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।