শিশু আয়ানের মৃত্যু

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে অসন্তুষ্ট, তদন্তে নতুন কমিটি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৫ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ফাইল ছবি

সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান প্রফেসর মাকসুদুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন আদালত।

কমিটির অন্যরা হলেন- প্রফেসর শশাঙ্ক কুমার মন্ডল, প্রফেসর হাফিজুর রহমান কার্জন, ডা. সাথী দস্তীদার ও প্রফেসর আমিনুর রশিদ। অনুসন্ধান শেষে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সুন্নতে খাতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান প্রফেসর মাকসুদুল আলমকে প্রধান করে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া আরজু। রিটের পক্ষে আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ নিজেই শুনানি করেন।

শুনানির সময় শিশুটির বাবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে পক্ষভুক্ত হওয়ার শুনানিতে ছিলেন মো. শিশির মনির। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট যায়েদ বিন আমজাদ। অন্যাদিকে ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এম. সাঈদ আহমেদ রাজা, অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে ও ব্যারিস্টার শেখ ওমার শরীফ।

গত ১৫ জানুয়ারি আয়ানের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরও আগে জনস্বার্থে স্বপ্রণোদিত হয়ে গত ৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয়।

গত ৩১ ডিসেম্বর আনন্দ নিয়েই রাজধানীর সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। অনুমতি ছাড়াই ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে সুন্নতে খতনা করান চিকিৎসক। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি তার।

স্বজনরা জানান, আয়ানের সুন্নতে খতনার দিন অপারেশন থিয়েটারে মূলত ওই মেডিকেল কলেজের ৪০ থেকে ৫০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ভেতরে ছিলেন। আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ তখন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসক আমাদের ডেকে বলেন যে দুনিয়াতে আয়ান আর নেই। তারা খুব তড়িঘড়ি করে আমাদের বের করে দেন।’

আয়ানের পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময় এমন ঘটনার পর অবস্থা বেগতিক দেখে সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ থেকে পাঠানো হয় গুলশান-২ ইউনাইটেড হাসপাতালে। এমনকি প্রথমে ১০ হাজার টাকার প্যাকেজে অপারেশনের কথা থাকলেও বিল ধরানো হয় প্রায় ছয় লাখ টাকা।

এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।