সাক্ষী ৩১ মার্চ

মাদক মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিলেন পরীমণি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ফাইল ছবি

রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩১ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পরীমণির পক্ষে হাজিরা দেন তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী রিফাত। এরপর আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী মামলাটি উচ্চ আদালতে আদেশের জন্য আছে বলে আদালতে জানান। এছাড়া অন্য দুই আসামি আদালতে হাজিরা দেন। এরপর আদালত পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ৩১ মার্চ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি পরীমণির মাদক মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত থাকবে বলে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচাপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আদেশ দেন।

২০২২ সালের ১২ মে পরীমণির আইনজীবী ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন। এরপর গত ২ জুন আদালত পরীমণির ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করেন।

২০২১ সালের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস জব্দ করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল জব্দ করা হয়।

পরদিন গত ৫ আগস্ট র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি আদালত পরীমণিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদ জাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়।

পরীমণি বিভিন্ন স্থান থেকে এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।

২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি পরীমণির মাদক মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত থাকবে বলে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আদেশ দেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পরিমনির মামলা চলবে কি না এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

জেএ/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।