বন্দির মৃত্যু

চট্টগ্রাম কারাগারের জেল সুপার-ওসিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রুবেল নামে এক বন্দির ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর অভিযোগে কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুর হোসেন এবং বোয়ালখালী থানার ওসি আছহাব উদ্দিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে নিহতের স্ত্রী মামলার আবেদন করেন।

আবেদনে অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম, এসআই এসএম আবু মুসা, এসআই মাঈন উদ্দিন, এসআই সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল কামাল, কনস্টেবল আসাদুল্লাহ, কনস্টেবল রিযাউল জব্বার, চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার এমরান হোসেন মিয়া, ডেপুটি জেলার নওশাদ মিয়া ও ওয়ার্ড মাস্টার আখরুল ইসলাম, সুমাইয়া খাতুন, ইব্রাহিম।

মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ বলেন, পুলিশ ও কারাগারে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি মামলার আবেদন জমা পড়েছে। এর এখনো শুনানি হয়নি।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট অজয় ধর বলেন, ভিকটিমকে যখন পুলিশ নিয়ে যায়, তখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। আর যখন কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মরদেহ বুঝে নেওয়া হয়, তখন ভিকটিমের শরীরের আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। বাদীর এমন বক্তব্যের ভিত্তিতে আমরা আদালতে মামলার দরখাস্ত জমা দেই। আদালত আর্জিটি দেখবেন বলেছেন। এরপর হয়তো একটি আদেশ দিতে পারেন আদালত। শুনানি করেও আবেদন দিতে পারেন।

মামলার দরখাস্ত সূত্রে জানা যায়, রুবেলের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এলাকায়। ২৭ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ। পরে রুবেলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পরিবারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঘুস দাবি করে পুলিশ। অন্যথায় তাকে ৫০০ লিটার চোরাই মদ দিয়ে চালান দেওয়ার হুমকি দেয়। পুলিশের দাবি পূরণ করতে না পারায় বিভিন্নভাবে শরীরিক নির্যাতন করে ২০০ লিটার চোরাই মদ দিয়ে রুবেলকে আদালতে সোপর্দ করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ।

এরপর আত্মীয়-স্বজন রুবেলকে কারাগারে দেখতে গেলে, তারা দেখেন হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। দেখা যায় রুবেলের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য জেল সুপারকে আদেশ দিতে জুডিসিয়াল আদালতে দরখাস্ত করলে আবেদনটি মঞ্জুর করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে জেল সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত। তবে ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় রুবেলের পরিবার খবর পান তিনি মারা গেছেন। তার মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে আছে।

এমডিআইএইচ/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।