হেরোইনের মামলায় আসামিকে জামিন দেওয়া বিচারককে বদলি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

 

হেরোইনের ১১ মামলায় জামিন দেওয়া রাজশাহীর জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জিয়া উদ্দিন মাহমুদকে বদলি করা হয়েছে। তাকে বদলি করে ঢাকায় আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ওসমান হায়দার ও সিনিয়র সহকারী সচিব মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার হন সেতাবুর রহমান ওরফে বাবু। এ ঘটনায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় গত বছরের ৩ জানুয়ারি মামলা হয় তিনজনের বিরুদ্ধে। এ মামলায় সেতাবুরের জামিন আবেদন গত ২৬ জুন নামঞ্জুর করেন বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ।

জামিন নামঞ্জুরের আদেশে বিচারক বলেন, নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঘটনার দিন সাক্ষীদের সামনে আসামির দেহ তল্লাশি করে তার প্যান্টের পকেট থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এমতাবস্থায় উদ্ধার করা মালামালের পরিমাণ, আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ধরণ ও হাজতবাসের মেয়াদ এবং অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় তার জামিন নামঞ্জুর করা হলো।

এ আদেশের এক মাস পর ১ আগস্ট ওই কোর্টে ফের জামিন চান আসামি। তখন বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। আদেশে বিচারক বলেন, আসামির আইনজীবী বলেছেন, সেতাবুরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মানবিক কারণে যে কোনো শর্তে জামিন চান। রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি জামিন বিষয়ে সরাসরি বিরোধিতা করেননি।

নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামি পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয়ে গত বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে জেলহাজতে আছেন। কেমিকেল রিপোর্ট, পিসিপিআর ও আসামির হাজতবাসের মেয়াদসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হলো।

এ জামিন আদেশ বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। আবেদনে বলা হয়, এক মাস আগে আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন বিচারক। কী এমন ঘটেছে যে, তাকে এক মাস পরেই আবার হেরোইনের মতো মাদকের মামলায় জামিন মঞ্জুর করা হলো। যেখানে মামলার সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে অধস্তন আদালতের বিচারকের দেওয়া জামিন আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাইকোর্টে অ্যাফিডেভিট দিয়ে একটি সম্পূরক আবেদন দাখিল করা হয়।

ওই আবেদনে বলা হয়, গত এক বছরে বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ গোদাগাড়ীর থানার ৯ মামলা এবং চারখালী এবং চারঘাটা থানার দুই মামলাসহ হেরোইনের মোট ১১ মামলার আসামিদের জামিন দিয়েছেন। এসব মামলায় সর্বনিম্ন ৫০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হেরোইন জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এফএইচ/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।