ভারতের প্রধান বিচারপতি

বাংলাদেশ ও ভারতের বিচারের সংস্কৃতি একই রকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে বসে বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত (ডি ওয়াই) চন্দ্রচূড়।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার পর ভারতের অন্য দুই বিচারপতিসহ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এজলাসে ওঠেন। এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু আহমেদর (এএম) আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির ভারতের প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান। পরে পর্যায়ক্রমে আপিল বিভাগের বিচারকাজ চলতে থাকে।

এজলাস ছাড়ার আগে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমার জন্য এটা সম্মানের যে আপনাদের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করতে পারলাম। আমার অন্য দুই কলিগকে নিয়ে বসে আছি, মনেই হয়নি বাংলাদেশে আছি। কারণ এমন আদেশ আমাকেও দিতে হয় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।’ এ সময় এজলাসে সবাই হেসে ওঠেন।

বাংলাদেশের আইনজীবী ও বিচারপতিদের ভারতের বিচারকাজ পরিদর্শনে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে আমন্ত্রণ জানিয়ে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আপনারা আসুন, আমাদের বিচারকাজও পরিদর্শন করুন। ভারত ও বাংলাদেশের বিচারের সংস্কৃতি একই রকম।’

ভারতের প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আপনাদের বার সভাপতি আইনজীবীদের ট্রেনিংয়ের যে কথা বলেছেন, তা আমি ফরোয়ার্ড করে দেবো। তবে এক্ষেত্রে তরুণ আইনজীবীদের প্রাধান্য দিতে বলবো।’

গত ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়। তিনি দেশটির ৫০তম প্রধান বিচারপতি। তার বাবা যশবন্ত বিষ্ণু চন্দ্রচূড়ও ছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন।

২০০০ সালের ২৯ মার্চ বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ধনঞ্জয়। পরে ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন। ২০১৬ সালের ১৩ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন তিনি। ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর শপথ নেওয়া বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের প্রধান বিচারপতি হিসেবে মেয়াদ ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।

এফএইচ/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।