শেকলে বেঁধে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ: চারজন কারাগারে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেকলে বেঁধে রেখে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার চার আসামির রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- সান, হিমেল, রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর।

রোববার (৭ এপ্রিল) মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের এসআই উত্তম কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার দুই দফা রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। অন্যদিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবির তাদের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত সোমবার (১ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুকুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ওইদিনও শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ।

আরও পড়ুন

এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ফের তিনদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শেকলে বেঁধে রেখে ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় এক তরুণীকে। নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগে গত ৩১ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী।

এর আগে তরুণীর চিৎকার শুনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক ব্যক্তি ফোনকল করলে পুলিশ ওই তরুণীকে শেকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।

জেএ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।