মায়ের অভিভাবকত্ব না পাওয়া কেন বৈষম্যমূলক নয়, হাইকোর্টের রুল
সন্তানদের অভিভাবকত্ব নিয়ে ১৮৯০ সালে করা আইনে নারীদের অভিভাবকত্ব কেন স্বীকৃতি দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, ব্যারিস্টার আনিতা গাজী রহমান, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার ও ব্যারিস্টার প্রিয়া আহসান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত জানান, সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে মায়ের অভিভাবকত্ব না পাওয়া কেন বৈষম্যমূলক নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আইন মন্ত্রণালয়, আইন কমিশন, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়, মানবাধিকার কমিশনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই আইনটি বৈষম্যমূলক, এ নিয়ে আবারও ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
রিটকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০ এর ১৯ (খ) ধারাটি বিশেষত, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৬ (মৌলিক অধিকারের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আইনসমূহ), অনুচ্ছেদ ২৭ (আইনের চোখে সমতার অধিকার) এবং অনুচ্ছেদ ২৮ (লিঙ্গ, ধর্ম ইত্যাদির ভিত্তিতে বৈষম্যমূলক আচরণ নিষিদ্ধ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
একই সঙ্গে নারীর সমতাবিষয়ক মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের পরিপন্থি হিসেবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, ব্লাস্ট এ মামলাটি দায়ের করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে, আজ অভিভাবকত্ব নির্ধারণের নির্দেশিকা এবং নীতিমালা প্রণয়নে একটি কমিটি গঠনের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
এফএইচ/এসএনআর/এমএস