এবার মাদক মামলায় বিচারের মুখোমুখি আজিজ মোহাম্মদ ভাই

জাহাঙ্গীর আলম
জাহাঙ্গীর আলম জাহাঙ্গীর আলম , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০০ পিএম, ১৬ মে ২০২৪
২০১০ সালে থাইল্যান্ড যাওয়ার পর আর দেশে ফেরেননি আজিজ মোহাম্মদ ভাই

নাম তার আজিজ মোহাম্মদ, বংশ পদবি ভাই। দুইয়ে মিলে পুরো নাম আজিজ মোহাম্মদ ভাই। দেশের ব্যবসায়িক মহল থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র অঙ্গন পর্যন্ত মোটামুটি খোঁজখবর যারা রাখেন এ নামটির সঙ্গে তাদের পরিচয় থাকারই কথা। কারণ, এই মানুষটি যতটা আলোচিত ঠিক ততটাই সমালোচিত ও বিতর্কিত।

১৯৬২ সালে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের জন্ম। পরবর্তীকালে পারিবারিক সূত্রেই হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ী। চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেও ফিল্মপাড়ায় গড়ে তোলেন নিজের খ্যাতি, প্রভাব ও সাম্রাজ্য। তবে বরাবরই তিনি সবার চোখে এক রহস্যময় চরিত্র হিসেবে থেকেছেন।

সম্প্রতি নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই আসামি হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। অনাদায়ে আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। তবে এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনসহ ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মাদক উদ্ধার হওয়া ফ্ল্যাটটি মালিকের অনুপস্থিতিতে আসামি নবীন মন্ডল ও পারভেজ দেখাশোনা করতেন। বেশিরভাগ সময় ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ থাকত। মাঝে মাঝে বিশেষ করে বিকেলে ও সন্ধ্যার পর কখনো নবীন মন্ডল কখনো পারভেজ বিভিন্ন লোকজন নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে যেতেন এবং গভীর রাত পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করতেন।- চার্জশিট

এবার মাদক মামলায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। এ মামলায় তিনি ছাড়াও নবীন মন্ডল ও পারভেজ নামে দুই আসামি রয়েছেন। তারা আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের গুলশানের বাসা দেখাশোনা করতেন। মামলায় এ তিন আসামিই পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক আদালত। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, মাদক মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি দশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এবার মাদক মামলায় বিচারের মুখোমুখি আজিজ মোহাম্মদ ভাই
আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া মাদক

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশানে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের দুটি বাসায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদসহ নবীন মন্ডল ও পারভেজ নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তাদের হেফাজত থেকে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার মদ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এস এম সামসুল কবীর বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

এ মামলায় গত ৯ মে ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তসরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের (সংশোধিত ২০২০) ধারা ৩৬(১) স্মারণি ২৪ (গ), ২৯ (ক), ৩৮ ও ৪১ মোতাবেক অভিযোগ গঠন করেন।

১৯৬২ সালে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের জন্ম। পরবর্তীকালে পারিবারিক সূত্রেই হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ী। চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেও ফিল্মপাড়ায় গড়ে তোলেন নিজের খ্যাতি, প্রভাব ও সাম্রাজ্য। তবে বরাবরই তিনি সবার চোখে এক রহস্যময় চরিত্র হিসেবে থেকেছেন

অভিযোগ গঠনের আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, আসামি আজিজ মোহাম্মদ ভাই, নবীন মন্ডল ও পারভেজ পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলো। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের (সিআরপিসি) ৩৩৯বি ধারার বিধানমতে বিচার চলবে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের (সংশোধিত ২০২০) ধারা ৩৬(১) স্মারণী ২৪ (গ), ২৯ (ক), ৩৮ ও ৪১ এর অভিযোগ থাকায় মামলার এজাহারে সাক্ষীদের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি ও অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের যৌক্তিক উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। তবে পলাতক থাকায় গঠিত অভিযোগ পলাতক আসামিদের শোনানো ও বোঝানো গেলো না।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, গুলশানের একটি বাসায় বিপুল পরিমাণ মদ সংরক্ষণ করে একটি চক্র মাদকের রমরমা কারবার করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় দুই আসামি নবীন মন্ডল ও পারভেজকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদসহ গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২০ লাখ টাকার মদ।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ডিএমপি গুলশান থানাধীন তাদের বাসার ঠিকানার অন্য একটি ফ্ল্যাটে বিপুল পরিমাণ মদ ও সিসা মজুত আছে। সেগুলোও তারা দেখাশোনা করেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার দুই আসামিকে সঙ্গে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

এবার মাদক মামলায় বিচারের মুখোমুখি আজিজ মোহাম্মদ ভাই
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদ ভাই

মামলাটির তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। চার্জশিটে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযোগ আনা হয়।

চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মাদক উদ্ধার হওয়া ফ্ল্যাটটি মালিকের অনুপস্থিতিতে আসামি নবীন মন্ডল ও পারভেজ দেখাশোনা করতেন। বেশিরভাগ সময় ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ থাকত। মাঝে মাঝে বিশেষ করে বিকেলে ও সন্ধ্যার পর কখনো নবীন মন্ডল কখনো পারভেজ বিভিন্ন লোকজন নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে যেতেন এবং গভীর রাত পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করতেন।

চার্জশিটে আরও বলা হয়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা মামলার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। তারা এ-ও জানান, ফ্ল্যাটের মালিক মাদক কারবারের বিষয়ে অবগত আছেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা মদ উদ্ধার হওয়া ফ্ল্যাট দুটির মালিকানা সম্পর্কে জানার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বরাবর চিঠি দেয়। চিঠির জবাবে সিটি করপোরেশন একটি প্রতিবেদন দেয়। প্রাপ্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, ফ্ল্যাট দুটির মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই। উল্লেখ্য, আজিজ মোহাম্মদ ভাই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।

নবাগত নায়িকা ও উঠতি মডেলদের সুযোগ দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। অর্ধশত সিনেমা প্রযোজনা করেন তিনি। তবে রুপালি পর্দার নায়িকাসহ বিভিন্ন নারীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বিনোদনপাড়ায় অনেক ধরনের গুঞ্জনই ভাসে। এ-ও শোনা যায়, নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে এরশাদ সরকারের আমলে তিনি একবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন

এদিকে, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সর্বশেষ বিদেশ গমনাগমনের তথ্য পান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তাতে জানা যায়, তিনি ২০১০ সালের ১১ মার্চ থাইল্যান্ড গমন করে আর দেশে ফিরে আসেননি।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেই পরিচিত। একসময় তার বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলেও তদন্তে সেটির প্রমাণ মেলেনি। তবে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় গত ৯ মে আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। মামলার রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর পূর্বশত্রুতা ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের পূর্বপুরুষরা মূলত পারস্য বংশোদ্ভূত। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর তাদের পরিবার ভারতের গুজরাট থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। পরিবারটি পুরান ঢাকায় নিজেদের ব্যবসায়িক বলয় গড়ে তোলে এবং সেখানেই বসবাস শুরু করে।

আজিজ মোহাম্মদ ভাই অলিম্পিক ব্যাটারি, অলিম্পিক বলপেন, অলিম্পিক ব্রেড ও বিস্কুট, এমবি ফার্মাসিটিউক্যাল, এমবি ফিল্ম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এছাড়া মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং ও সিঙ্গাপুরে তার হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসা রয়েছে বলেও জানা যায়। তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।

নব্বইয়ের দশকে ব্যবসায়ী পরিচয় ছাপিয়ে এমবি ফিল্মসের ব্যানারে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। সেখানেও দ্রুতই বিস্তার করেন নিজের আধিপত্য। বিশেষত নবাগত নায়িকা ও উঠতি মডেলদের সুযোগ দিয়ে তিনি বেশ আলোচনায় আসেন। অর্ধশত সিনেমা প্রযোজনা করেন তিনি। তবে রুপালি পর্দার নায়িকাসহ বিভিন্ন নারীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বিনোদনপাড়ায় অনেক ধরনের গুঞ্জনই ভাসে। এ-ও শোনা যায়, নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে এরশাদ সরকারের আমলে তিনি একবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন।

যে সাজা হতে পারে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের
মাদক মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যেসব ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, সেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের (সংশোধিত ২০২০) ধারা ৩৬(১) স্মারণি ২৪ (গ)-তে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০০ কেজি অথবা লিটার-এর ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৫ বৎসর অনূর্ধ্ব ১০ বৎসর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

ধারা ৩৬(১) স্মারণি ২৯ (ক)-তে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব এক কেজি অথবা লিটার হইলে অন্যূন এক বৎসর অনূর্ধ্ব পাঁচ বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড;

ধারা ৩৬(১) স্মারণি ৩৮ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি সজ্ঞানে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের জন্য তাহার মালিকানাধীন অথবা দখলি কোনো বাড়িঘর, জায়গাজমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন, যন্ত্রপাতি অথবা সাজসরঞ্জাম কিংবা কোনো অর্থ অথবা সম্পদ ব্যবহার করিতে অনুমতি প্রদান করেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

এবার মাদক মামলায় বিচারের মুখোমুখি আজিজ মোহাম্মদ ভাই
চলচ্চিত্রের রহস্যমানব আজিজ মোহাম্মদ ভাই

ধারা ৩৬(১) স্মারণি ৪১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে কাউকে প্ররোচিত করিলে অথবা সাহায্য করিলে অথবা কাহারও সহিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইলে অথবা এতদুদ্দেশ্যে কোনো উদ্যোগ অথবা প্রচেষ্টা গ্রহণ করিলে, মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটিত হউক অথবা না হউক, তিনি সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের অনুরূপ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু জাগো নিউজকে বলেন, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

‘এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে চেষ্টা করবো আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে।’

ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পেশকার তানভীর জাগো নিউজকে বলেন, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন আদালত।

জেএ/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।