প্রধান বিচারপতি

গাফ্ফার চৌধুরীর প্রস্থানে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা অনুভব করি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ এএম, ২০ মে ২০২৪

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, মানব কল্যাণ ও দেশপ্রেমের বিভিন্ন লেখা ও কর্মে সুদূর প্রবাসে থেকেও আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী জাতির বিবেকে পরিণত হয়েছিলেন। নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছিলেন বাঙালির পথনির্দেশক হিসেবে।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী স্মৃতি সংসদ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রস্থানে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা আজও আমরা প্রতিনিয়ত অনুভব করি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আজ এমন এক মহান ব্যক্তিত্বের স্মরণে এখানে সমবেত হয়েছি, যিনি স্বাধীন জাতি সত্ত্বা হিসেবে বাঙালির যে উন্মেষ, তার প্রারম্ভ হতে শুরু করে সাফল্য সংকটে সবসময় বাঙালিকে তার চিন্তা, লেখনী ও কর্মের মাধ্যমে পথনির্দেশ করে গেছেন। যদিও সাধারণের কাছে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারির’ গীতিকার হিসেবেই তিনি অধিক পরিচিত। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় তার এই পরিচয়টি বরং আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রতিভার সামগ্রিকতাকে আড়াল করে দেয়।

৮৮ বছরে ২০২২ সালে আব্দুল গাফফার চৌধুরী চলে গেছেন উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, তার প্রস্থানে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা আজও আমরা প্রতিনিয়ত অনুভব করি। সাধারণ চোখে ৮৮ বছরকে সুদীর্ঘকাল মনে হলেও, কিছু কিছু মানুষ আছেন, যারা তাদের কর্মের ডালিতে জীবনকে এমনভাবে সাজান যে দীর্ঘ জীবনও তার কর্ম ও অবদানকে ধারণ করার জন্য যথেষ্ট মনে হয় না। আব্দুল গাফফার চৌধুরী তেমনই একজন মানুষ। মানব কল্যাণবোধ ও দেশপ্রেম জড়িত তার বিভিন্ন লেখা ও কর্মের কারণে সুদূর প্রবাসে বসবাস করা সত্ত্বেও জীবদ্দশায় তিনি জাতির বিবেকে পরিণত হয়েছিলেন, নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছিলেন বাঙালি জাতির পথনির্দেশক হিসেবে।

স্মরণ সভায় আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আবদুল মান্নান চৌধুরী, একুশে টেলিভিশনের সিইও নাট্যকার পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।

এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।