সাড়ে ৪ কোটি টাকার সোনাসহ গ্রেফতার শহীদের দায় স্বীকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ২০ মে ২০২৪

রাজধানীর বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সোনাসহ গ্রেফতার আসামি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার (২০ মে) দুদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

আরও পড়ুন

শারজাহ থেকে আসার সময় গত শুক্রবার (১৭ মে) সকালে শাহজালাল বিমানবন্দরের কাস্টমস গোয়েন্দারা শহীদ মিয়ার শরীর তল্লাশি করে চার কোটি ৬০ লাখ টাকার সোনাসহ তাকে গ্রেফতার করে।

পরদিন শনিবার (১৮ মে) শহীদ মিয়াকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবির আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঘটনার দিন গত ১৭ মে সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে শারজাহ থেকে আসা যাত্রী শহীদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় তার কাছে ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার থাকার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার কাছে ৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। তার কাছে আর কোনো সোনা থাকার কথা অস্বীকার করায় শরীর তল্লাশি করেন গোয়েন্দারা।

এসময় তার পরনে অতিরিক্ত জামা-কাপড় পাওয়া যায় এবং সেগুলোর ওজন অস্বাভাবিক মনে হয়। পরে সেই জামা-কাপরগুলো খুলে মেশিনে স্ক্যান করা হয়। তখন জামা-কাপড়ের মধ্যে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা সোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেলে তাকে কাস্টমস হলে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন

সোনার পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে শহীদ মিয়ার শরীরে থাকা ১৬টি কাপড় (যার মধ্যে শর্ট প্যান্ট-৯টি, স্যান্ডো গেঞ্জি ৬টি ও ফুল প্যান্ট ১টি) স্থানীয় স্বর্ণকার কর্তৃক যাত্রী ও বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে বিমানবন্দরের ক্যানোপি-১ এ নিয়ে পোড়ানো হয়।

পোড়ানোর পরে অপরিশোধিত চার হাজার ৪৬২ গ্রাম পরিমাণ সোনা নির্ণয় করা হয়। প্রাপ্ত মোট সোনার পরিমাণ চার হাজার ৪৯২ গ্রাম (চার হাজার ৪৬২ গ্রাম অপরিশোধিত সোনা ও ৩০ গ্রাম অলংকার)।

পরে এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

জেএ/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।