৩ কেজি হেরোইনের মামলায় বতসোয়ানার নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ২৮ মে ২০২৪

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি কাতারের দোহা হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন বতসোয়ানার নাগরিক লেসেডি মোলাপিসি। সঙ্গে আনেন ৩ কেজি ১৪৫ গ্রাম হেরোইন, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। তবে বিপুল পরিমাণ এ মাদক নিয়ে ধরা পড়েন কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে। ঘটনার পরদিন রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আলম।

মামলার বিচার শেষে সোমবার (২৭ মে) আসামি লেসেডি মোলাপিসিকে মৃত্যুদণ্ডর দেন বিচারক। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেন বিচারক। মঙ্গলবার (২৮ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মিলন। তিনি বলেন, সোমবার আসামির উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় দেন। রায় শেষে আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অন্য আসামি মো. মহিবুল ইসলাম মাসুদকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আমিনুল ইসলাম।

রায়ের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ৮(গ) ধারায় এ মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়। এ ধারা অনুযায়ী ২৫ গ্রামের বেশি পরিমাণ হেরোইন পরিবহনের দায়ে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, আসামি লেসেডি মোলাপিসি ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গ থেকে কাতারের দোহা হয়ে ঢাকাগামী ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় লেসেডি গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমকালে তার সঙ্গে থাকা ট্রলি ব্যাগ স্ক্যানিং করা হয়। এসময় তার ব্যাগের মধ্যে পাউডার বা দানাদার পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে ব্যাগের মধ্যে ৩টি লেডিস ভ্যানিটি ব্যাগ ও একটি ফাইল ব্যাগ থেকৈ ৩ হাজার ১৪৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। পরে রাসায়নিক পরীক্ষাতেও আসামির নিয়ন্ত্রণ থেকে পাওয়া ৩ কেজি ১৪৫ গ্রাম হেরোইন ছিল মর্মে প্রতীয়মান হয়।

রায়ের সূত্রে জানা গেছে, আসামি লেসেডি মোলাপিসি অল্প অল্প বাংলা বুঝতে ও বলতে পারে। তাকে সাক্ষীদের বক্তব্য পড়ে শুনানো ও ইংরেজিতে বুঝিয়ে বলা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তিনি সাফাই সাক্ষ্য দেবেন না বলে জানান এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেন তিনি।

মামলাটি তদন্ত শেষে আসামি লেসেডি মোলাপিসি ও মহিবুলকে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ৮ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, আসামি লেসেডি মোলাপিসি ও মো. মহিবুল ইসলাম একে অন্যের সহযোগিতায় হেরোইনের ব্যবসা করতেন।

এরপর ২০২৩ সালের ২০ জুলাই মামলার অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ছয়জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

জেএ/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।