শিক্ষা উপসচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৯ এএম, ২৯ মে ২০২৪

আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আলমগীর হোসেনের (কলেজ শাখা-২) বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মে) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজের পাঁচজন সাবেক (সহকারী অধ্যাপক) শিক্ষককে চাকরির সব সুযোগ-সুবিধাসহ আত্তীকরণে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে এ শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা পেতে কোনো আইনগত বাধা ছিল না। তারপরও ওই আদেশটি পালন করেননি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উপ-সচিব। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবমাননা রুল জারি করেছেন আপিল বিভাগ।

এর আগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ওইদিন বাদীপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম ও আইনজীবী মোহাম্মদ বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট কাজী তামান্না।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও আর কলেজের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু।

মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজকে সরকারিকরণ করে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকারি করা কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮’ এর আলোকে ঢাকা জেলার মোহাম্মদপুর থানার লালমাটিয়া মহিলা কলেজ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে সরকারি ঘোষণা করা হয়। যা ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে।

প্রজ্ঞাপন জারির পরও ওই শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে বেতন অর্ধেক করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক বেতন-ভাতার দাবিতে ২০২২ সালে লালমাটিয়া মহিলা কলেজের ২৬ জন শিক্ষক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং কর্মরত শিক্ষকদের নিয়ম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভু টু আপিল দায়ের করেন।

এরপর আপিল বিভাগ বেতন-ভাতাদির বিষয়ে স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগকে রুলটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে জারি করা রুল শুনানি শেষে হাইকোর্ট তা খারিজ করে ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে রিটকারী শিক্ষকদের সবাইকে প্রভাষক পদে আত্তীকরণের নির্দেশ দেন। ওই রায় ও আদেশের বিরুদ্ধে রিটকারী শিক্ষকেরা লিভ টু আপিল (লিভ টু আপিল মামলা নম্বর- ৫১৯/২০২৩) করেন। সংশ্লিষ্ট সকলের সুযোগ সুবিধা দিলেও এই পাঁচজনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় গড়ি মসি করেন। তাই আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এফএইচ/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।