রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণকাজের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৮ এএম, ১০ জুন ২০২৪

চাঁদা না দেওয়ায় রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় এরই মধ্যে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এক ব্যক্তিকে।

রোববার (৯ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে ম্যুরাল নির্মাণকাজের অগ্রগতি জানিয়ে রাজশাহীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া নির্মাণকাজে সুরক্ষা দিতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১২ আগস্ট দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আব্দুর রাফেল।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওয়াজি উল্লাহ, যিনি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে এনেছিলেন।

পুলিশের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বিনয় কুমার ঘোষ। পত্রিকাটির পক্ষে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা জানিয়ে হলফনামা দেন আইনজীবী মো. ফরহাদ হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আব্দুর রাফেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ.টি.এম. আমিনুর রহমান (মিলন) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাইলা রানী শাহ্।

‘চাঁদা না দেওয়ায় বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার ম্যুরাল নির্মাণ বন্ধ’ শিরোনামে একটি দৈনিকে গত ২৮ মে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। মো. ওয়াজি উল্লাহসহ সুপ্রিম কোর্টের দুজন আইনজীবী ওইদিন প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজশাহীতে চাঁদা না দেওয়ায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। রাজশাহীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে এই ম্যুরাল নির্মাণ করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে এখন ঠিকাদার এই কাজ করতে সাহস পাচ্ছেন না। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পাউবোর রাজশাহী সদর শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুকেশ কুমার বোয়ালিয়া থানায় এ জিডি করেন।

শুনানি নিয়ে ২৮ মে হাইকোর্ট স্ব:প্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। অভিযোগে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। দৈনিক পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশককে প্রতিবেদনের সত্যতা বিষয়ে হলফনামা আকারে এসময়ের মধ্যে জানাতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আদালতে ওঠে।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বিনয় কুমার ঘোষ বলেন, ওই ঘটনায় নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খন্দকার কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার ৩ জুন বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন। এর আগে করা জিডির ভিত্তিতে মো. কাউসার আলী নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

এফএইচ/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।