আইন প্রয়োগ না হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে


প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ১৭ মে ২০১৬
ফাইল ছবি

জঙ্গিবাদ-গুপ্ত হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ শক্তভাবে না করা হলে সমাজে আইনশৃঙ্খলার অবনতি আরও ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আপিল বিভাগে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ও রিমান্ড বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার তিনি তার অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের  এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কয়েক দফা সুপারিশসহ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছিলাম, আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে, ২৪ মে রায়ের জন্য রাখা হয়েছে। আমরা বলেছি যে অপপ্রয়োগের ব্যপারে আদালত যদি কোন রকম নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয় সেটা ঠিক আছে, কিন্তু আদালত আইন সংশোধনের জন্য ছক করে দিয়ে কোন রকম অর্ডার দিতে পারেন না।

মাহবুবে আলম বলেন, ৫৪ ধারার মূল বক্তব্য হল আসামিদের সুরক্ষার ব্যপারে নানা রকম বক্তব্য।  কিন্তু সমাজে সাধারণ মানুষ ও আসামি উভয়য়ে বসবাস করে। অপরাধের ফলে যারা নাকি ভিকটিম হয়, তাদেরও কিন্তু অধিকার আছে, আসামির একটি অধিকার আছে। আদালতের কাজ হলে এই দুটির ভেতর একটা ব্যালেন্স করা।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন বর্তমানে যেমন জঙ্গিবাদ, মুক্ত চিন্তার বিরুদ্ধে অবস্থান ও নানা রকমভাবে গুপ্ত হত্যা-এগুলো যেভাবে হচ্ছে এক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ শক্তভাবে না করা হয়, শুধুমাত্র আসামির অধিকার প্রকটভাবে দেখা হয় সমাজে আইনশৃঙ্খলার অবনতি আরও ঘটবে।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, এপ্রিলে ওই রায় হওয়ার কয়েকমাস পরে হাইকোর্টে আরেকটি রায় হয়। এর লেখক বর্তমান প্রধান বিচারপতি। আমি বলেছি পরবর্তী যে রায়টি সঠিকভাবে নানা রকম সমস্যাগুলো বিবেচনা করে কিছু নির্দেশনামূলক আদেশ দেওয়া হয়েছে। এটি হল হাইকোর্টের এখতিয়ারের ভেতর থেকে রায়। ব্ল্যাস্টের দায়ের করা মামলায় যে রায় সেটি আইন সম্মত হয় নি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, হতাশার ব্যপারটি হল কতগুলো নির্দেশনা গ্রেফতার করার পর পুলিশ কি করবে, পুলিশ আসামিকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে কি করবে এসব বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা ছিল। আদালত বলেছেন এই নির্দেশনাগুলো এখন ঠিকমত পালন করা হচ্ছে না।

এফএইচ/এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।