আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোয় জড়িত দুই পুলিশকে জিজ্ঞাসার অনুমতি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয়জনের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্য কনস্টেবল মুকুল ও এসআই মালেককে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতার হওয়া পুলিশ সদস্য মুকুলকে ২৮ জানুয়ারি এবং অন্য পুলিশ সদস্য মালেককে ৩০ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রসিকিউশনের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার (২৬ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন বি এম সুলতান মাহমুদ। এসময় প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান তরফদার, মনোয়ার হোসেন তামিম, এস এম মইনুল করিম ও শাইখ মাহদী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আশুলিয়ায় যে লাশ পোড়ানোর ঘটনা ছিল সেখানকার দুই আসামি কনস্টেবল মুকুল ও এসআই মালেক, তারা দুইজনই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম। আদালত তাদের একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন। ২৮ জানুয়ারি মুকুলকে ও ৩০ জানুয়ারি মালেককে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর সকালে এস আই মালেককে কিশোরগঞ্জ থেকে এবং কনস্টেবল মুকুলকে নবাবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া গত ২৪ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় ছয়জনের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ও চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ পরোয়ানা জারি করেন। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ তাদের উপস্থিত করা হয় এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের এই দিন ঠিক করেন।
পরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট ছয় শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনায় তখনকার সাভার-আশুলিয়ার সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়। এছাড়া চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম