যে বিষয়গুলো মেজাজ খারাপ করে

মনের সঙ্গে শরীরের যেমন এক অটুট সম্পর্ক তেমনই মনের সাথে তারসঙ্গে মেজাজেরও সম্পর্ক রয়েছে। যখন কোনো কারণ আপনার মনকে ছুঁয়ে যায় আর আপনি অভিভূত হন। আর যখন তেমনই কোনো কাজ আপনার খারাপ লাগে আপনার মন খারাপ হয়ে যায়। দুনিয়া জোড়া সমস্ত দুঃখ আপনার মনে এসে জড়ো হয় এবং মাথায় ঘুরতে থাকে। যা আপনারই অজান্তে হতে থাকে, আর আপনি মনের কষ্টে নিজের মধ্য গুঁটিয়ে থাকেন।
নেতিবাচক মানুষদের সঙ্গে সময় কাটালে :
আমাদের আশে পাশে যারা বসবাস করে তাদের মধ্যে অনেকেরই নেতিবাচক মনোভাব কাজ করে। তাই তাদের সঙ্গে যারা সময় কাটায় তাদের মধ্যেও এমন নেতিবাচক ভাবনা কাজ করে। সর্বক্ষেত্রে তারা সবার আগে উল্টো কথা চিন্তা করে। তারা ভাবে সফল হওয়া খুব কঠিন। আর এসব নেতিবাচক মানুষের থেকে দূরে থাকাও তেমন সহজ নয়, তাই আপনি তাদের মাঝে যতক্ষণ থাকবেন চেষ্টা করুন স্পষ্ট এবং যুক্তিযুক্তভাবে সব দিক বিবেচনা করার।
খারাপ খবর :
আমাদের চারিদিকে যা প্রতিনিয়ত ঘটে তাই খবর। এসব খবরের মধ্যে ভালো খবর যেমনই থাকে তেমনই বাজে খবরও থাকে। আর আমরা যখন খারাপ খবরটি পাই বা আমাদের মনের অজান্তে আমাদের মস্তিস্ক তা পেয়ে যায় তখনই অঘটনটা ঘটে যায়। মানুষ নানা চিন্তায় পড়ে যায় তাদের ভবিষ্যৎ বর্তমান নিয়ে। আর তাদের মন থাকে এসব ব্যাপার নিয়ে প্রচণ্ড খারাপ ।
বিশৃঙ্খলতা :
আমাদের পড়ার টেবিল কিংবা কাজের জায়গা প্রায়ই কাগজ, কলম, ইত্যাদি দিয়ে ভর্তি থাকে। এতে সময়ে কাজের জিনিস খুঁজে পাওয়া যায় না। যাতে কাজের মাঝের এই ব্যাঘাত আমাদের মেজাজ খারাপ করে দেয়। আর বিশৃঙ্খলতা কোনো কাজকে পরিপূর্ণতা দেয় না। ফলে আপনি যেমন কাজ করে তৃপ্তি পাবেন না তেমনই আপনার মনও ভালো থাকবে না।
ঘুমানোর আগে টেলিভিশনে বেশি সময় দেওয়া :
টেলিভিশন, ফোন কিংবা কম্পিউটারের সামনে ঘুমানোর আগে সময় কাটানো আমাদের মধ্যে অনেকেরই অভ্যাসের তালিকায় আছে। তবে এই কাজটি করলে আমাদের মন মেজাজ প্রায়শই খারাপ হয়ে যায়। অন্ধকারে বসে টিভি, মোবাইল ফোনে সময় কাটালে মেলাটোনিম নামে একটি হরমোন নিষ্কৃত হয় যা আমাদের মন খারাপ করে দেয়। আর এক সময় এই প্রবল মন খারাপ মেজাজ খারাপ করে দেয়।
জাংক ফুড :
জাংক ফুড আমাদের মন মেজাজ অনেকভাবে খারাপ করে দেয়। জাংক ফুডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-6। যাতে রয়েছে পলিয়ান্সেটুরেটেড ফেটি এসিড যা আমাদের মস্তিষ্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করে।
এইচএন/পিআর