ভুল, একটি দুঃখফুল

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

গোলাম রববানী

এক.
আমরা সবাই নিজের ভুলে ভুলে জড়াই
নিজের ভুলে অশ্রুজলে ডুবে ভাবি
ভুল মানুষে চক্ষু ভাসাই; জানো, কে সে?
যে অকারণ খেলায়, হাসায়, কাঁদায়, ডুবায়!

দুই.
খুঁজে বলো আর কী হবে ফিরে যাবার পরে—
ছিলে যখন মনঘরে শুকনো পাতার নীড়ে!

হারিয়ে যাবার পরে বুঝে আর কী হবে!

পাথর মনে ঝরনা চোখে চেয়ে চেয়ে
না হই একটি সুখের রক্তাক্ত নীলাকাশ হবে
চৈত্রদিনের আগুনবেলায়
চুপটি করে হাতল পাখায়;
তুমি যদি নাই-বা খোঁজো নাই-বা মনে রাখো আমায়

তিন.
নগ্নতা বন্যদের মানায় ভালো সবাই জানো
হ্যাঁ, সেটাকে সভ্যতা কয়
কেন বলো অকারণ ভদ্রতা দেখাও

চার.
বোধ হলে তো সময়কালও ঠিকানাহীন হয়

পাঁচ.
বয়সের আড়ালে আজও বয়সীবটে দিই উঁকি
ফেলে আসা ছটফটে সেই বয়সগুলি

ছয়.
অন্ধকারে আজও আমি আমার আলো দেখি

সাত.
প্রিয়কে প্রিয় রাখা যায় চরাচরে পরান গাঁথলে

আট.
জীবন একটা ফুটন্ত দুঃখফুল—
একূল ওকূল, বসে ভাবি মধ্যকূল!

নয়.
ভূমিমাটি এই নরকের হাল ছেড়েই তো যেতে হবে
আরেক নরক কত কথা থেকে যাবে
পৃথিবীতে; কারো ঠোঁটে কারো পিঠে
স্বর্গে বসে আবাস গড় ভুলে না হয় যতন করে

নাই-বা সাড়ে তিনটি হাত মাটি রেখো সুখে থেকো
এইটুকুই না হই দাবি পূর্ণ করো ভালোই থেকো

তোমরা সবাই খুব যতনে ভালো থেকো সুখে থেকো
সুরজ দেখো চলার পথটি থেকে যাবে
আমার জন্মমাটির পরে আমার এই না থাকা জুড়ে

দশ.
চারিদিকে দেখি ছড়ানো ছিটানো কতশত কষ্টবীজ
ফলে যাচ্ছে দেখো উর্বর অনুর্বর স্বর্গ ভূ-খণ্ডে
তরতর করেই বেড়ে উঠছে সময়ের সমস্ত নষ্টবৃক্ষ
নষ্ট নরশয়তান আমি জানালাম নষ্টবৃক্ষকেই নমস্কার

এগারো.
কী বিশ্বাসে কী নিশ্বাসে নষ্টজন্ম আমার
নষ্টবৃক্ষই কী আজন্ম তোমার আমার মনালংকার
নিজের মাঝে নিজের আমার এ কী আত্মচিৎকার, আহা!
শুধু করুণা করে দাও করুণাময় নিদারুণ রহম

বারো.
দেখতে পেলাম জগৎ মাঝে
জনপ্রিয় এক ফুল ফুটেছে
নাম দিছি তার একূল ওকূল
তাতান শূন্য এক দুঃখফুল

কান্না দিয়ে জীবন শুরু ভুল কিছু না শেষও দুঃখফুল

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।