ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

মেহেরপুরে মিয়াজাকি আম চাষ, বিশ্বে কেজি ২ লাখ টাকা

জেলা প্রতিনিধি | মেহেরপুর | প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ০৩ জুলাই ২০২৫

উচ্চমূল্যের জাপানি মিয়াজাকি জাতের আম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মেহেরপুর শহরের তরুণ বাগান মালিক মির্জা গালিব উজ্জ্বল। তার সফলতায় এ জাতের আম বাগান তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন জেলার অনেকেই। কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের মিয়াজাকি আম চাষে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

জানা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে ২ বিঘা জমিতে আড়াই বছর আগে ৭৭টি জাপানি মিয়াজাকি জাতের আম গাছ লাগান মির্জা গালিব। পেয়েছেন ফলও। বিশ্ব বাজারে যার কেজিপ্রতি দাম ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় নানা জাতের ২ হাজর ৩৬৬ হেক্টর জমিতে আমের বাগান আছে।

মেহেরপুরে মিয়াজাকি আম চাষ, কেজি ২ লাখ টাকা

বাগান মালিক মির্জা গালিব উজ্জ্বল বলেন, ‘বছর দশেক আগে জাপান প্রবাসী বেণু খাতুনের কাছ থেকে এ আম সম্পর্কে জানতে পারি। তখনই দেশে এ জাতের আম ফলানোর পরিকল্পনা করি। আড়াই বছর আগে নাটোর থেকে ৭৭টি মিয়াজাকি জাতের আম গাছ কিনে ২ বিঘা জমিতে রোপণ করে ভালোমত পরিচর্যা করতে থাকি। অবশেষে চলতি বছর ফল দিয়েছে ৫০টি গাছে। গাছ লাগানো থেকে ফল আসা পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। এ জাতের আম গাছে তেমন রোগবালাই নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেশের মানুষকে ওষুধি গুণসম্পন্ন এ জাতের আম দিতে চাই। চলতি বছর ফল বিক্রি করবো না। মেহেরপুরে এ আমের দাম এখনো নির্ধারণ হয়নি। আগামী বছর থেকে সুপারশপগুলোতে এ আম বিক্রির ইচ্ছা আছে। আগামীতে এ আমের চাহিদা বেশি হলে বাগানের পরিধি আরও বড় করার পরিকল্পনা আছে।’

নতুন জাতের খয়েরি রঙের এ আম দেখতে বাগানে ভিড় করছেন এলাকাবাসী ও অন্য বাগান মালিকেরা। এ ধরনের আম এর আগে দেখেননি তারা। উজ্জ্বলের বাগানে আমের ফলন ভালো হওয়ায় বাগান তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন তারা।

মেহেরপুরে মিয়াজাকি আম চাষ, কেজি ২ লাখ টাকা

বাগান দেখতে আসা সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের উচ্চমূল্যের নতুন জাতের আমের বাগান আগে দেখিনি। উজ্জ্বলের বাগান দেখতে এসে খুবই ভালো লাগছে। আগামীতে কয়েক বিঘা মিয়াজাকি আমের বাগান তৈরি করবো। মিয়াজাকি আম চাষে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।’

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামসুল আলম বলেন, ‘এ জাতের আমটি ওষুধিগুণসম্পন্ন। ডায়োবেটিস, ক্যানসার প্রতিরোধী ও হজম শক্তি বৃদ্ধিসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এ জাতের আম খুবই কার্যকর। উজ্জ্বলসহ উচ্চমূল্যের এ ধরনের ফল আবাদে জেলার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’

আসিফ ইকবাল/এসইউ/জিকেএস

আরও পড়ুন