কাজী নজরুলের মজার ঘটনা: গোয়েন্দার খোঁজ
বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত। তাঁর দুটি ঐতিহাসিক ও বৈপ্লবিক সৃষ্টিকর্ম হচ্ছে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ও ‘ভাঙার গান’ সংগীত।
কবি ছিলেন খুবই রসিক মানুষ। একবার তিনি গেলেন কবি সুফিয়া কামালের বাড়িতে। তখন সুফিয়া কামাল স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় বাস করতেন। সে সময়ে কাজী নজরুল ইসলাম প্রায়ই সুফিয়া কামালের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন। সুফিয়া কামাল তাঁকে নাকি ‘দাদু’ বলে ডাকতেন। এক কবির প্রতি আরেক কবির অন্তরের টান থাকাটাই স্বাভাবিক।
সে সময়ে নজরুলের পেছনে গোয়েন্দা লাগানো ছিল। তিনি কবি সুফিয়া কামালের বাড়িতে গেলে সেখানে গানের আসর বসত এবং সে আসরে পাড়ার অনেকেই এসে উপস্থিত হতেন। কয়েকজন গোয়েন্দাও এঁদের সঙ্গে মিশে যেতেন। তো একদিন এক ভদ্রলোকের মুখের ওপর বিদ্রোহী কবি কবিতা আওড়ালেন—
‘তুমি টিকটিকি, জানি ঠিকঠিকই।’ তখনি লোকটি রক্তরাঙা মুখে সে স্থান পরিত্যাগ করতেই কবি সুফিয়া কামাল জিজ্ঞেস করে বসলেন, ‘কী করে তুমি চিনলে দাদু?’
‘গায়ের গন্ধে। বড় কুটুম্ব যে!’ বিদ্রোহী কবি হেসে জবাব দিলেন।
আরেকটি ঘটনা
একবার নজরুল গেছেন সিরাজগঞ্জে, আসাদউদ্দৌলা সিরাজীর বাসায়। খাওয়া দাওয়ার পর সবাইকে দই দেয়া হলো। কিন্তু সে দই আবার বেজায় টক হয়ে গিয়েছিল। তা খেয়ে নজরুল আসাদউদ্দৌলার দিকে তাকিয়ে চোখে-মুখে অদ্ভুত ভঙ্গি করে বললেন, ‘তুমি কি এই দই তেতুঁল গাছ থেকে পেড়ে নিয়ে এলে নাকি?’
লেখা: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
কেএসকে/এএসএম