শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের মজার ঘটনা: সম্পত্তি
বাংলা সাহিত্যের এক রসিক লেখক দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র। হাস্যরস ছিল তার জীবনজয়ের মন্ত্র। অসম্ভব চরিত্রের দৃঢ়তা, অনমনীয় মানসিক শক্তি, কঠোর কর্তব্যপরায়নতা। দাদাঠাকুর ছিলেন স্বভাব কবি এবং তীক্ষ্ণধী, সমাজ সচেতন লেখক।
দাদাঠাকুর ছিলেন ‘একাই একশো’- তিনি ‘জঙ্গিপুর সংবাদ’-এর কম্পো্জিটার, প্রুফ-রিডার, মুদ্রক, প্রকাশক, সম্পাদক এমনকি বিক্রেতাও ছিলেন। দাদাঠাকুর ছিলেন সাংবাদিক, সম্পাদক, সর্বোপরি কবি। দাদাঠাকুরই ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সুযোগ্য উত্তরসূরি এবং শেষ কবিয়াল।
এক রাতে দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিত ও নলিনীকান্ত সরকার পাশাপাশি শুয়ে ঘুমোচ্ছেন। গভীর রাতে হঠাৎ দাদাঠাকুর ঘুম ভেঙে উঠে ঘুমন্ত নলিনীকান্তকে জাগিয়ে বললেন, ও নলিনী, একটা বড় জিনিস আবিষ্কার করেছি হে, ওঠো ওঠো, এটা ঘুমোবার সময় নয়!
ডাক শুনে চোখ রগড়াতে রগড়াতে উঠে নলিনী জিজ্ঞেস করলেন, কী ব্যাপার? দাদাঠাকুর বললেন, সুখবর! সাহিত্য পরিষদের চির সদস্য সাহিত্যিক নলিনী পণ্ডিতের সব সম্পত্তি তো আমার আর তোমার! হ্যাঁ, আমাদের দুজনের।
নলিনী বললেন, কী রকম শুনি?
দাদাঠাকুর হাসতে হাসতে বললেন, তুমি নলিনী আর আমি পণ্ডিত। দুজন মিলে নলিনী পণ্ডিত। নয় কি?
এ কথা শুনে নলিনীকান্ত গভীর রাতেও হোঃ হোঃ করে হেসে উঠলেন।
লেখা: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
কেএসকে/জিকেএস