ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ঢাবি উপাচার্য

ঐতিহাসিক জুলাই যে বৃহত্তর ঐক্য তৈরি করেছে তা টিকিয়ে রাখতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ০৪ আগস্ট ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমরা একটি বৃহত্তর ঐক্যের মঞ্চ তৈরি করতে পেরেছিলাম। স্কুল, কলেজ, পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশাজীবী, রিকশাচালক, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ সবাই সেদিন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ছিলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে অনুষদের কনফারেন্স রুমে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাগরণের এক নতুন অধ্যায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সেমিনার আয়োজন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, জুলাইয়ের যে কোনো আলোচনা আমাদের কাছে ঋণ স্বীকারের একটি বড় উপলক্ষ্য। ৫ আগস্ট-এর পূর্বে আমরা কেউই জানতাম না যে, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান একটি ভয়ানক রাষ্ট্রব্যবস্থার পতন হবে। তবুও জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে সেদিন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ছিলাম।

তিনি বলেন, কিছু মানুষের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের পরিণতি এই গণ-অভ্যুত্থান। কিছু মানুষ রক্ত দিয়ে আমাদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এই সুযোগকে প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজে লাগাতে হবে। ঐতিহাসিক মাইলফলকের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু ডায়ালগ, সেমিনার, সম্মেলনসহ বিভিন্ন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব আয়োজনের উদ্দেশ্য একটাই, জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ঋণ স্বীকার করা। জুলাইয়ের প্রতি আমাদের সবার কৃতজ্ঞতা একইসূত্রে গাঁথা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনকারীদের বিচার প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, দোষীদের বিচার নিশ্চিত করতে আইনগত সঠিক প্রক্রিয়ায় বৃহত্তর পরিসরে আমরা কাজ করছি। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যথাযথ সাক্ষ্য ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই আমরা দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। তথ্য-প্রমাণসহ সার্বিক বিষয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মাসব্যাপী সেমিনার সিরিজ আয়োজনের অংশ হিসেবে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এফএআর/এসএনআর/জিকেএস