কেন অনিয়মিত ডাকসু নির্বাচন, যা বলছেন শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা

মো. ফেরদাউস
মো. ফেরদাউস মো. ফেরদাউস , বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ০৩ আগস্ট ২০২৫
জাগো নিউজ গ্রাফিক্স

একসময় গণতন্ত্রের সূতিকাগার বলা হতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি)। সেই ক্যাম্পাসে ছাত্রদের ভোটাধিকার যেন বন্দি হয়ে ছিল প্রশাসনিক নীরবতা, রাজনৈতিক ভয় ও লেজুড়বৃত্তিক সংস্কৃতির কারাগারে। একসময় যেখানে ডাকসু নির্বাচনের উত্তাপে ছাত্র রাজনীতি প্রাণ পেতো, সেখানে বছরের পর বছর কোনো শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নির্বাচনের আয়োজনই করা হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১০৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন হয়েছে মোট ৩৭ বার। তার মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে মাত্র সাতবার। ২০১৯ সালে শেষবারের মতো ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল। এরপর কেটে গেছে ছয় বছর। নির্বাচন হয়নি, আলোচনা হয়নি, দায়ও স্বীকার করেনি কেউ।

তবে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ডাকসু নির্বাচনের দাবি জোরালো হয়। গত ২৯ জুলাই তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে ৯ সেপ্টেম্বর ৩৮তম ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এই দীর্ঘ নীরবতার পেছনে আছে গভীর রাজনৈতিক অঙ্ক, আছে প্রশাসনের তটস্থতা, আর আছে শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক দলের দখলদারত্ব প্রতিষ্ঠার নির্লজ্জ পরিকল্পনা। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার পরিবর্তে আজকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন ক্ষমতাসীনদের জন্য ‘নিরাপদ অঞ্চল’ বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। অথচ এই ডাকসুই একসময় ছিল অন্যায্য সিদ্ধান্তের মুখোমুখি দাঁড়ানো সাহসী কণ্ঠস্বর, ছিল গণআন্দোলনের পেছনে ছাত্র নেতৃত্ব তৈরির ঘাঁটি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট হয়েছে- নিয়মিত ডাকসু নির্বাচনের পথে কেবল গঠনতন্ত্রগত দুর্বলতা নয়, বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, প্রশাসনের তাবেদারি, শিক্ষক রাজনীতির অসৎ মেলবন্ধ এবং সচেতনতার অভাবে ভোগা ছাত্রসমাজ।

লুটতন্ত্রের পথে বাধা হওয়ায় ডাকসু নির্বাচনে গড়িমসি

নিয়মিত ডাকসু না হওয়ার পেছনের প্রতিবন্ধকতা ও তার থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নূমান আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা ক্ষমতাসীন দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনের নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ার ভয়ে নির্বাচন হতে না দেওয়ার হীন মানসিকতা এবং তাতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের তাবেদার শিক্ষকদের নির্লজ্জ সমর্থন। ডাকসু বডি সবসময়ই ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত ও কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন হলে সরকারবিরোধী শিক্ষার্থীরা জিতবে এবং সরকারের লুটতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করবে এমন আশঙ্কা থেকে সরকারও চায় না ডাকসু নির্বাচন হোক।

নিয়মিত নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে মুক্তি

নূমান আহমেদ মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের সঠিক চর্চা অব্যাহত রেখে ক্ষমতাসীন দলের তাবেদারি না করে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেই ডাকসু নির্বাচনের সামনে কখনোই কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

কেন অনিয়মিত ডাকসু নির্বাচন, যা বলছেন শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা

ডাকসু নির্বাচন না হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীগুলোর হস্তক্ষেপকে দায়ী করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী গিয়াস উদ্দিন রনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়মিত হতে না দেওয়ার পেছনে কাজ করেছে মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীগুলোর নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ। তারা ছাত্রদের কণ্ঠস্বর এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের উত্থানকে ভয় পায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতজানু স্বায়ত্তশাসনও এর পেছনে কম দায়ী নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসনকে গুরুত্ব দিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, ডাকসুসহ সব ক্যাম্পাসের ছাত্র সংসদ নির্বাচন একাডেমিক ক্যালেন্ডারের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করে সরকারি বা রাজনৈতিক সব অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখতে পারলেই নিয়মিত ছাত্রসংসদ করা সম্ভব।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ জাওয়াদ সামি বলেন, নিয়মিত ডাকসু নির্বাচনের পথে বেশ কয়েকটি বড় প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনীহা, রাজনৈতিক চাপ, পুরোনো ও অপ্রাসঙ্গিক গঠনতন্ত্র, সহিংসতার আশঙ্কা এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহের অভাব- এসব কারণেই নির্বাচন দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিত। এর পাশাপাশি, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অভাবও একটি বড় সমস্যা।

সাইফের মতে, এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি, আধুনিক ও বাস্তবসম্মত গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সহনশীলতা বজায় রাখা। প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের যৌথ উদ্যোগেই নিয়মিত, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক ডাকসু নির্বাচন সম্ভব।

চাপে পড়ার ভয়ে বাধা আসে সরকারের পক্ষ থেকেই

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী বায়জিদ হাসান বলেন, ডাকসু হলে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সাধারণত সরকারে থাকা অবৈধ ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে। ফলে সরকারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যেমনটা দেখা যায়, ২০১৯ সালে ডাকসুর পর আওয়ামী লীগ সরকারের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন ভিপি নুরুল হক নুর এবং উনিশের সেই ডাকসু নির্বাচন গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের গ্রাউন্ড তৈরি হয়েছিল। মূলত সরকার নিজে চাপে পড়ার ভয়ে ডাকসু নির্বাচনে বাধা দেয়।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তার মতে, প্রথমত নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন হওয়ার জন্য সব শিক্ষার্থীকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে। শুধু একটা চাকরির জন্য ছাত্রদল-ছাত্রলীগ না করে সব শিক্ষার্থী সচেতন থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসু দিতে বাধ্য।

কেন অনিয়মিত ডাকসু নির্বাচন, যা বলছেন শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা

যা ভাবছেন ছাত্রনেতারা

নিয়মিত ডাকসু না হওয়ার পেছনের প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, এদেশে যে সরকার ক্ষমতায় যায়, তারা চায় প্রশ্নের বাইরে থাকতে। এক্ষেত্রে তারা সবচেয়ে বেশি বাধার সম্মুখীন হন ছাত্রদের দ্বারা। ছাত্ররা সবসময় এ অঞ্চলের রাজনৈতিক কালচারের জন্য থ্রেট হিসেবে আসে। এজন্য তারা (সরকার) শিক্ষাঙ্গন নিজেদের আয়ত্তে আনতে চান। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে হলগুলা কুক্ষিগত করে রাখা হয়। আবার কিছু শিক্ষক, কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিজস্ব পদ-পদবির জন্য এসব ছাত্র সংগঠন ও ক্ষমতায় থাকা সরকারের সঙ্গে লিয়াজোঁ করেন। আবার গণরুম-গেস্টরুম কালচার বাঁচিয়ে রেখে সরকার এখান থেকে সুবিধা নিয়েছে। ওই চিন্তাভাবনা থেকেই ছাত্রদের নির্বাচিত কোনো প্ল্যাটফর্ম কোনো সরকার চায় না। সরকার না চাইলে সরকারের তাবেদারি করা প্রশাসনও চায় না নিয়মিত ডাকসু হোক।

নিয়মিত ডাকসুর ক্ষেত্রে তার ভাবনা কি এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল কাদের বলেন, সরকারের যদি গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেওয়ার সদিচ্ছা থাকে তাহলে নিয়মিত ডাকসু হওয়া সম্ভব। আবার শিক্ষকরা যদি সবকিছুতে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে তাদের দায়িত্ববোধের জায়গায় যদি সবসময় কনসার্ন থাকেন, তাহলেও নিয়মিত ডাকসু হওয়া সম্ভব। আবার ছাত্র সংগঠনগুলো যদি মনে করে, আমরা ছাত্রদের জন্য কাজ করব, আমার কাজ ছাত্রদের জন্য, তারা যদি চায় তাহলে এটা সম্ভব। এই যে তিনটা পক্ষ- ছাত্র, শিক্ষক ও জাতীয় রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছা থাকলে নিয়মিত ডাকসু হওয়াটা সহজ হয়ে যায়।

কেন অনিয়মিত ডাকসু নির্বাচন, যা বলছেন শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা

সরকার তাদের প্রধান প্রতিবন্ধকতা মনে করে ডাকসুকে

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো, সরকার প্রধান প্রতিবন্ধকতা মনে করে ডাকসুকে। ছাত্র প্রতিনিধিরা ক্যাম্পাসে অ্যাকটিভলি ফাংশন করলে ক্যাম্পাসগুলো আর তার (সরকার) দলীয় সেবাদাসে পরিণত করতে পারে না। ফলে সরকার ক্ষমতা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার- সামগ্রিক বিষয়ের জন্য ডাকসুকে হুমকি মনে করে। যে কারণে এর আগে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যাওয়ার পর ডাকসুকে আটকে দেওয়া রেগুলার প্র্যাকটিস হয়ে গেছে। বাংলাদেশে ক্রমাগত ডাকসুকে আটকে দেওয়াটাই যেন সৌন্দর্য হয়ে উঠেছে। আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাজনৈতিক দলের রিকমেন্ডেড প্রশাসন হয়। রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়কে দলীয় সেবাদাস বানায়। তারা শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ডাকসুকে ঠেকিয়ে রাখে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কি- এ প্রশ্নের জবাবে এস এম ফরহাদ বলেন, ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের উচিত ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আওয়াজ তোলা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ শিক্ষক সিলেকশনে যেন খুব বেশি রাজনৈতিক লোককে দিতে না পারে সেই বিষয়টি প্রতিরোধ করা। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকা। মেইন ভূমিকা রাজনৈতিক সংগঠনের, তাদের যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয় যে তারা ছাত্র সংসদ হতে দেবে তাহলে নিয়মিত ডাকসু হওয়া সম্ভব।

স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দিন খালিদ বলেন, ডাকসু নিয়মিত না হওয়ার পেছনে মূল কারণ ডাকসুর হাইপ। এটা যে লেভেলের জিনিস তার চেয়ে বেশি এটার পলিটিক্যাল ভ্যালু তৈরি হয়েছে। ফলে নানান পলিটিক্যাল ইক্যুয়েশনের কারণে এটা নিয়মিত হয় না।

জামালুদ্দিন খালিদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় যদি তার স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে এনে নিজের সক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, ডাকসুকে সাংবিধানিক অধিকারে আনতে পারে তাহলে ডাকসু নিয়মিত হওয়া সম্ভব।

কেন অনিয়মিত ডাকসু নির্বাচন, যা বলছেন শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা

ছাত্র সংগঠনগুলোর উচিত প্রশাসনকে চাপে রাখা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, নিয়ম হলো ডাকসুর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন করা। কিন্তু কখনো তা হয় না। ক্যালেন্ডারে ডেট না থাকাটা ডাকসুর জন্য প্রতিবন্ধকতা। এক্ষেত্রে ছাত্র সংগঠনের সবচেয়ে বড় ভূমিকা প্রশাসনকে ডাকসুর জন্য চাপের মধ্যে রাখা।

সংস্কার না হলে পরবর্তী নির্বাচন নিয়েও তৈরি হবে শঙ্কা

ছাত্রদলের ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক মল্লিক ওয়াসী উদ্দিন তামী বলেন, ডাকসু বা হল সংসদ নির্বাচনের গঠনতন্ত্রে কত বছর বা কত মাস পর পর ডাকসু হবে সেটি নির্দিষ্টভাবে কিছু লেখা নেই। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ এ তেমন কিছু লেখা নেই। তাই সংস্কার প্রস্তাবে অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন কতদিন পরপর ডাকসু নির্বাচন হবে তা আইনে ও গঠনতন্ত্রে যুক্ত করার প্রস্তাব জানালেও প্রশাসন সেটি করেনি। এই সংস্কার ছাড়া ৯ সেপ্টেম্বরের ডাকসু হলে দেখা যাবে আবারো এমন ছয়-সাত বছর ডাকসু হবে না।

এফএআর/এএমএ/এমএমএআর/এমএফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।