ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

জবি ছাত্রদল নেতা

আস-সুন্নাহ হলের শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকারের প্রোডাকশন’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | জবি | প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রকল্পের (আবাসিক হলের) শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের প্রডাকশন’ বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ফরহাদ বিন বাসিত।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পাকিস্তানের পতাকা আঁকা ইস্যুতে বাকবিতণ্ডাকালে হলের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পাকিস্তানের পতাকা আঁকার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি তাতে বাধা দেয়। পরে আস-সুন্নাহ হলের এক শিক্ষার্থী পাকিস্তানের ছবি আঁকতে নিষেধ করলে ‘পাকিস্তানের দোসর’ বলে তার দিকে তেড়ে যায়। হলের শিক্ষার্থীরা বাসে চলে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এ সময় আস-সুন্নাহ হলের শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের প্রোডাকশন’ বলে বক্তব্য দিতে থাকেন ছাত্রদলের ফরহাদ বিন বাসিতসহ ছাত্রদলের একাধিক নেতা। এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও পরে ধস্তাধস্তি হয়।

আরও পড়ুন
বিজয় দিবসে ঢাবিতে গোলাম আযমের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ, ঘৃণা প্রদর্শন 
পাকিস্তানের পতাকা এঁকে পদদলিত করতে বাধা, জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ 

ফরহাদ বিন বাসিত বলেন, পাকিস্তানের পতাকা আমাদের পায়ের নিচে থাকবে, এটা অঙ্কন করতে আমাদের কেন অনুমতি লাগবে! ইসরায়েলের পতাকা অঙ্কন করতে তো অনুমতির প্রয়োজন ছিল না।

হলের শিক্ষার্থীদের রাজাকার ট্যাগ দেওয়ার প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলের আরেক আহ্বায়ক সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্টে অবস্থান করছি! তাহলে আমিও কি রাজাকার? শিবির?’

এর আগে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাতভর প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় তারা উপাচার্যের গাড়ি অবরোধ করে রাখেন। পরে ভোর পাঁচটার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অবরোধ তুলে নিলে ক্যাম্পাস ছেড়ে যান উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পতাকা আঁকতে গেলে অনুমতি প্রয়োজন। তারা অনুমতি না নিয়েই পতাকা আঁকতে শুরু করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস ক্যাম্পাস থেকে বের হতে বাধা দেন।

টিএইচকিউ/কেএসআর