ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ফোনে মেসেজ আসার পর টাকা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারে কর্তৃপক্ষ

জেলা প্রতিনিধি | গোপালগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৬:৫২ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০২০

চুরি যেন পিছু ছাড়ছে না। একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার এবং কোয়ার্টার্স থেকে স্যানিটারি ফিটিংস চুরির পর এবার মুখে মাস্ক, টুপি ও ফেসশিল্ড পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেক চুরি করে সই জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে।

গত ৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের চুরিকৃত চেক ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাকাউন্ট থেকে আড়াই লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান জানান, চেক চুরি করে এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গত ৩ নভেম্বর আড়াই লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। টাকা উত্তোলনের পর ফোনে মেসেজ এলে তারা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি প্রশাসনকে জানান।

তিনি জানান, প্রশাসনের সহায়তায় তারা ইতোমধ্যে দুই ধাপে চেকের আড়াই লাখ টাকা বুঝে পেয়েছেন।

ড. হাসিবুর রহমান বলেন, গত ৪ নভেম্বর আমি প্রশাসনকে সন্দেহের জায়গা উল্লেখ করে চিঠি দিই। পরে ওইদিনই সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি দেড় লাখ টাকা বুঝিয়ে দেন এবং অবশিষ্ট এক লাখ টাকা আজ (৯ নভেম্বর) বুঝিয়ে দিয়েছেন।

অভিযুক্তের নাম পরিচয় জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি এবং এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান।

তিনি বলেন, আমরা টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি এবং আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। এখনই সবকিছু বলা সম্ভব নয়। প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নাম-পরিচয় প্রকাশ করা যেতে পারে এবং কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা জানা যাবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, চেক চুরির পর মাস্ক, টুপি এবং ফেস শিল্ড পরা ব্যক্তিটি গোপালগঞ্জ শহরে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করেছিলেন।

চুরির ঘটনায় সেই ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করে বিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী।

সুকান্ত সরকার/এমএএস/পিআর