ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ব্যবসায়ীর কাছে দুই ছাত্রলীগ নেতার ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০৯:১২ পিএম, ০৯ মে ২০২৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাশে পানধোয়া বাজার এলাকায় এক ডিশ ব্যবসায়ীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। টাকা না দিলে ডিশ ব্যবসা বন্ধ এবং ওই ব্যবসায়ীকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মমিনউল্লাহ মমিন নামে ওই ব্যবসায়ী আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন জাবি শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক শান্ত মাহবুব এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক হাছিবুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা শান্ত মাহবুব নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের এবং হাছিবুর রহমান ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। দুজনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী বলে পরিচিত।

ভুক্তভোগী মমিন জানান, গত ১৫ এপ্রিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের লোক পরিচয়ে শান্ত মাহবুব ও হাছিবুর রহমান তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় তাদের সঙ্গে আরও সাত-আটজন এসেছিলেন। তবে তিনি তাদের চিনতে পারেননি। এরপর থেকে প্রায় দেড় মাস ধরে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মমিন অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের নেতারা ডিশের কাজে ব্যবহৃত ১৩টি হাইব্রিড ক্যাবল এমপ্লিফায়ার নিয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ৯ জায়গায় তার কেটে ফেলেছেন। ২৬ কোরের প্রায় ৫০০ মিটার ডিশের তার নিয়ে গেছেন। প্রায় পাঁচ শতাধিক বাসায় মানুষ ডিশ সুবিধা পাচ্ছে না। সার্ভিসও বাধ্য হয়ে পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতারা সার্ভিস বন্ধ রাখতে বলেছেন। চালু করলে আমাদের প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। খাইরুল ইসলাম নামে আমার এক লাইনম্যানকেও উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতারা।

এ বিষয়ে লাইনম্যান খাইরুল বলেন, গত ১ এপ্রিল জাবি ছাত্রলীগ নেতা হাছিব আমাকে উঠিয়ে আল-বেরুনী হলের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে মারধর করা হয়। আমার কাছে থাকা আট হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। ডিশের কাজে যেন আমবাগান বা ক্যাম্পাসে না যাই, গেলে জবাই করে ফেলবে বলেও তারা হুমকি দেন। চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে আমাদের ডিশ ব্যবসা একেবারেই বন্ধ।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগের বিষয়ে শান্ত মাহবুব ও হাছিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, খোঁজ নিয়ে যতটুকু জেনেছি তাতে অভিযোগকারী সম্পূর্ণ একটি বানোয়াট অভিযোগ দিয়েছেন। তারপরও যদি কোনো ধরনের সত্যতা মেলে তাহলে আমরা অবশ্যই অভিযুক্তদের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সোমবার আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে পানধোয়া বাজারে আমরা গিয়েছি তদন্ত করার জন্য। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটা আমরা দেখব।

বিজ্ঞাপন

মাহবুব সরদার/এমআরআর/এমএস

বিজ্ঞাপন