রংপুরে আলুর হিমাগারে ছিল ৭ হাজার কেজি মিষ্টি ও দই

রংপুর শহরের ময়নাকুটি এলাকায় আলুর হিমাগার থেকে ৬ হাজার ৭৮০ কেজি মিষ্টি ও দই উদ্ধার করেছে প্রশাসন। আলুর পরিবর্তে অবৈধভাবে এসব খাদ্যপণ্য মজুত করায় হিমাগার কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রংপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোয়ার্দার আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সেনাবাহিনী ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
অভিযান প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ ইকবাল বলেন, হিমাগারটি আলুর জন্য নির্ধারিত হলেও সেখানে বিপুল পরিমাণ মিষ্টি ও দই মজুত ছিল, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। হিমাগার কর্তৃপক্ষ ও পুষ্টি নামের মিষ্টির দোকান কর্তৃপক্ষ উভয়েই দোষ স্বীকার করেছে। তাদের এক লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
- আরও পড়ুন
পশ্চিমবঙ্গে আ’লীগ নেতা ও পলাতক এসপিসহ ৩ বাংলাদেশি আটক, পরে মুক্তি
চুয়াডাঙ্গায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে টাকা লুট
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই ধরনের খাদ্যপণ্য হিমাগারে সংরক্ষণ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এগুলো মানুষকে না জানিয়ে বাজারজাত করার পরিকল্পনা ছিল, যা প্রতারণার শামিল। উদ্ধার করা সব পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে এসব মিষ্টি হিমাগারে মজুত রাখা হয়েছিল। ঈদের আগে ও পরে বাজারে সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
হিমাগার কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা বলেন, ঐতিহ্যবাহী পুষ্টি মিষ্টির দোকান আমাদের কাছে জায়গা চেয়েছিল। আমরা তাদের অনুরোধে এসব পণ্য কিছুদিনের জন্য রাখি। এটা আমাদের ভুল হয়েছে।
জিতু কবীর/কেএসআর
বিজ্ঞাপন