ডিস ব্যবসার দ্বন্দ্বে যুবক হত্যা: ছাত্রদলের ৩ নেতাকর্মী বহিষ্কার
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ডিস ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে মো. ফাহিম মিয়া (৩০) হত্যার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা ও দুই কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. মঞ্জুরুল হক আরিফ ও সদস্য সচিব আসাদ ফরাজী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- উপজেলার মানকোন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সজীব হাসান, কর্মী মো. আবির ও মো. মারুফ। তারা স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম তারার ঘনিষ্ঠভাজন।
চিঠিতে বলা হয়, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই তিনজনকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
- আরও পড়ুন-
- ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট
- রংপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গ্রেফতার
- বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি, ৪৫ গ্রাম প্লাবিত
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ বলেন, হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের বোর্ডঘর মোড় এলাকায় ডিস ব্যবসা নিয়ে ফাহিমের চাচা মজনুকে মারধর করছিলেন ছাত্রদল নেতা সজীবসহ তার কয়েকজন অনুসারী। এসময় ফাহিম তার চাচাকে বাঁচাতে গেলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এমতাবস্থায় পরিবারের লোকজন ফাহিমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় রাতেই ফাহিমের মা রুবি আক্তার থানায় বাদী হয়ে সজীবকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে উপজেলার মানকোন বোর্ড ঘর এলাকায় ময়মনসিংহ-জামালপুর মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। বিক্ষোভকারীরা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এসে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এফএ/এএসএম