ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার কংকাল উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৩:০৮ এএম, ১৬ জুন ২০১৬

এক বছর আগে নিখোঁজ হওয়া কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গড়াই ইট ভাটার মালিক ও বিএনপি নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজের কংকাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার মীর মোশাররফ হোসেন সেতুর পাশে গড়াই নদীর তলদেশের বালি সরিয়ে পুলিশ কংকালের কিছু অংশ উদ্ধার করে।

জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান ও আর্দশ কলেজের অধ্যক্ষ আলতাফ এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিলো। নিখোঁজ মিরাজ কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়ার মৃত আব্দুল গণি শেখের ছেলে। ইউনিয়ন নির্বাচনে কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন তিনি।

কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, ২০১৫ সালের ৪ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে মিরাজ তার ব্যবসায়ীক পার্টনার কোহিনুরের মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে লাহিনী বটতলা মোড়ে আসার পর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় মিরাজের স্ত্রী শখি খাতুন ৫ জুন কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে সেটি মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের।

এরমধ্যে পুলিশ তদন্ত করে হত্যাকাণ্ড সর্ম্পকে নিশ্চিত হয়। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে ৯ জনকে সনাক্ত করে। অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় ৭ জনকে। বর্তমানে ৬ জন কারাগারে রয়েছে। বাকি দুই জন পলাতক এবং একজন জামিনে রয়েছেন।
 
পরে এই মামলার অন্যতম আসামি কুমারখালীর জোতপাড়া গ্রামের সলেমান চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জবানবন্দী দেন এবং গড়াই নদীর মধ্যে মরদেহ পুতে রাখার কথা স্বীকারসহ ঘটনাস্থল সনাক্ত করেন। তবে ওই সয়ম পুলিশ মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে ব্যার্থ হয়।

সম্প্রতি পুলিশ এই মামলার আরেক আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করে আদালত থেকে বুধবার রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি গড়াই নদীর মধ্যে মরদেহ পুতে রাখার জায়গা দেখিয়ে দেন। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর মিরাজের কংকাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

তবে নিখোঁজ মিরাজুলের স্ত্রী সখি খাতুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মিরাজুলের কঙ্কাল উদ্ধারের কথা শুনেছি। তবে সেটা মিরাজুলেরই কি না তা এখনও সনাক্ত করে নিশ্চিত হতে পারেন নি।

আল-মামুন সাগর/এফএ/এবিএস

আরও পড়ুন