গুইমারায় নিহতদের পরিচয় শনাক্ত
নিহতদের মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে
খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালায় মারমা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে গুইমারায় নিহত তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা সবাই খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা।
নিহতরা হলেন গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের দেবলছড়ি চেয়ারম্যান পাড়ার আথুইপ্রু মারমা (২১), হাফছড়ি ইউনিয়নের সাং চেং গুলিপাড়ার আথ্রাউ মারমা (২২) ও রামসু বাজার বটতলার তৈইচিং মারমা (২০)।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করেন।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন মো. ছাবের বলেন, ‘নিহতদের মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
আরও পড়ুন:
১৪৪ ধারা-অবরোধে স্থবির খাগড়াছড়ি, থমথমে গুইমারা
তিনি আরও জানান, গুইমারা সহিংসতায় এ পর্যন্ত আহত ১৪ জনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ১৩ জন চিকিৎসাধীন। একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুইমারায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওইদিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। পরদিন সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীলকে (১৯) আটক করে পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। আদালত তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসআর/এএসএম