ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফরিদপুর

ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন কৃষকদল নেতা

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের হতদরিদ্র ভ্যানচালক সানোয়ার হোসেনের ছয় মেয়ের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। অভাবের কারণে তাদের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। খবর পেয়ে তিনি হতদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়ান।

বুধবার র(১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম।

এর আগে মঙ্গলবার ছাত্রদল নেতারা উপজেলার ময়না ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামে সানোয়ারের বাড়িতে যান এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এ সময় ছয়টি মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে যতদিন লাগবে ততদিন সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলে আশ্বস্ত করা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, হতদরিদ্র ভ্যানচালক সানোয়ার হোসেনের ছয়টি মেয়ে। অভাবের সংসার। মেয়েদের পড়ালেখা দুরে থাক সংসারই চলে না। সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে। সানোয়ার হোসেনের বড় মেয়ে সুমি পারভীন স্থানীয় রাখালগাছি দাখিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। দ্বিতীয় মেয়ে রুমি পারভীন গৌরিপুর উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, তৃতীয় মেয়ে লিমা পারভীন একই বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণিতে পড়ে। চতুর্থ মেয়ে সিমা পারভীন গোয়াইলবাড়ী মৃধাবাড়ি মহিলা মাদরাসার হেফজখানায় অধ্যয়নরত। ছোট দুই মেয়ে ফাতেমা পারভীন ও খাদিজা পারভীন স্থানীয় মক্তবে পড়ছে। অভাবের কারণে মেয়েদের পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়া তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। অনেকটা বন্ধ হয়ে পড়ে তাদের পড়ালেখা।

বিষয়টি জানতে পারেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। তিনি সানোয়ারের পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহিরকে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।

সানোয়ার হোসেন বলেন, ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে চলে সংসার। মেয়েরা পড়ালেখায় ভালো হলেও আমার পক্ষে তাদের পড়ালেখার দ্বায়িত্ব নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই অনেকটা বন্ধ হয়ে পড়ে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম। বিএনপি নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। মেয়েদের পড়ালেখার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন, তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুপ্রেরণা ও নির্দেশে আমরা সানোয়ার হোসেনের ছয় মেয়ের পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়া হয়। ভবিষ্যতেও এমন দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার জন্য পাশে থাকবে ছাত্রদল।

জানতে চাইলে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, সমাজের সবারই উচিত এমন অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। একটি হতদরিদ্র পরিবারের ছয় মেয়ের পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে যা যা দরকার, সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম, বায়েজিদ আলী রাব্বি ও মাহমুদুল হাসানসহ সবাইকে ধন্যবাদ এমন একটি মানবিক বিষয় জানানোর জন্য।

এনকেবি নয়ন/আরএইচ/জিকেএস