ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঠেঙামারী বিল যেন কচুরিপানার ‘সাগর’

উপজেলা প্রতিনিধি | বেনাপোল (যশোর) | প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

যশোরের শার্শা উপজেলার ঠেঙামারীতে পানিতে ডুবে গেছে ধানক্ষেত। ভারতীয় ইছামতি নদীর পানি এসে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। জমিতে দিনের পর দিন পানি থাকায় শত শত বিঘা জমি এখন কচুরিপানায় ঢেকে গেছে। এতে বোরো ধান রোপণ নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন ওই অঞ্চলের কৃষকরা।

জানা গেছে, যশোরের শার্শা উপজেলার ঠেঙামারীর এই জমিতে ধান চাষ করেন ওই অঞ্চলের কৃষকরা। তবে চাষের এই জমি নিচু হওয়ায় শার্শা সীমান্তের ভারতের ইছামতি নদীর পানি এসে বিলে পরিণত হয়েছে। আর দীর্ঘদিন পানি জমে থাকা ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় শত শত জমি এখন কচুরিপানায় ভরে গেছে। এদিকে ইরি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরির নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয়রা কচুরিপানা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। শনিবার তারা বিল পরিষ্কার ও কচুরিপানা কাটার জন্য অন্য উপজেলার থেকে মেশিন ভাড়া করেছেন। মেশিনের সাহায্যে কচুরিপানা কেটে জমি পরিষ্কার করার চেষ্টাও করছেন তারা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, এবছর বিলে এবং খালে যে পরিমাণ কচুরিপানা জমে রয়েছে তাতে বোরো ধান লাগানোর কোনো সম্ভাবনাই তারা দেখছেন না। কচুরিপানা পরিষ্কার করতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু এতো টাকা ব্যয় করে যদি সময় মতো বিলের পানি না নামে, তাহলে সব টাকা বিফলে যাবে।

স্থানীয় কৃষক নায়েব আলী জানিয়েছেন, মেশিনে এক বিঘা জমির কচুরিপানা পরিষ্কার করতে অন্তত ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হবে। আর এই কচুরিপানা রাখতে দুই কাঠা জমি লাগবে।

ঠেঙামারী বিল যেনো কচুরিপানার ‘সাগর’

কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, মাঠে কচুরিপানা পরিষ্কার করা মেশিন আনা হয়েছে। যদি এতে খরচ কম হয় তাহলে কচুরিপানা কাটা মেশিন দিয়ে জমি পরিষ্কার করবেন। তবে এতো কিছুর পরেও ধান না হওয়ার শঙ্কা বেশি।

কয়েকজন কৃষক জানান, তারা ঠেঙামারী বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই স্থায়ী সমাধান চান। সরকার খাল সংস্কার ও গেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে মাঠে ফসল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যায় রয়েছি। সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি। ভারতীয় ইছামতি নদীর পানি এসে মাঠের পাশাপাশি বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে যায়। খালের পানি বের করার কোনো ব্যবস্থা নেই। শুনেছি সরকারিভাবে খাল সংস্কার ও দাউদখালী খালমুখে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার সমস্যার সমাধান হবে কিনা বলা যাচ্ছে না।

একই কথা জানান শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। বছরের বেশির ভাগ সময় ভারতীয় পানিতে খালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কয়েকবার পানি ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাল সংস্কার ও দাউদখালী খালমুখে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে।

মো. জামাল হোসেন/এনএইচআর/জেআইএম