ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক | বগুড়া | প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

বগুড়া সদরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন জহুরুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যবসায়ী। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে বাড়ি থেকে বের হন জহুরুল ইসলাম। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত জহুরুল উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদিঘী তালুকদারপাড়ার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন বেকারি ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ জানায়, নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন জহুরুল ইসলামের স্ত্রী শামিমা আক্তার (৩২) এবং তার পরকীয়া প্রেমিক খালাতো ভাই বিপুল (৩৮)। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তাকে খুন করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শৈশব থেকেই শামিমা আক্তার ও তার ফুফাতো ভাই বিপুলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে জহুরুলের সঙ্গে শামিমার বিয়ে হয়। বিপুল ও জহুরুল একে অপরের খালাতো ভাই। কিন্তু বিয়ের পরেও শামিমা আর বিপুলের পরকীয়ার সম্পর্ক চলমান ছিল। এ নিয়ে দাম্পত্য জীবনে জহুরুলের সঙ্গে শামীমার বিরোধ তৈরি হয়। পরে শামিমা ও বিপুল মিলে জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

সোমবার রাতে শামিমা আক্তার দুধের সঙ্গে অন্তত ১৫টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন স্বামী জহুরুলকে খাওয়ান। ওষুধ খেয়ে জহুরুল অচেতন হয়ে পড়লে শামিমা ফোন করে ডেকে নেন প্রেমিক বিপুলকে। এরপর ঘুমন্ত জহুরুলকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির পাশের একটি অর্ধনির্মিত বাড়িতে। সেখানে দেওয়ালের সঙ্গে সজোরে আঘাত করে তার মাথা গুরুতর জখম করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভাঙা টয়লেটের টাইলস দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ ফেলে রাখা হয় পাশের ধানক্ষেতে।

হত্যার পর শামিমা আক্তার নিজের অপরাধ ঢাকতে নাটকীয়তার আশ্রয় নেন। মঙ্গলবার সকালে স্বামীর মরদেহ উদ্ধারের পর তিনি নিজেই সাংবাদিকদের কাছে স্বামীর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।

এ ঘটনায় শামিমা আক্তারের বাবা বাদী হয়ে মামলার পর পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। পুলিশ নিশ্চিত হয়, নিহত জহুরুলের স্ত্রী শামিমাই এই হত্যার নেপথ্যে ছিলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বগুড়া সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, তদন্তের পরই আমরা জানতে পারি, পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সব তথ্য পাওয়া গেছে।

নিহত জহুরুলের ১০ বছরের এক ছেলে ও ছয় বছরের এক মেয়ে রয়েছে। গ্রেফতার শামিমা আক্তার ও বিপুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এসআর/এএসএম