বাঁশবাগান থেকে নবজাতক উদ্ধার: সম্মাননা পেলেন আনসার সদস্য ইমরান
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সালামের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক ও আর্থিক পুরস্কার গ্রহণ করেন আনসার সদস্য মো. ইমরান হোসাইন
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া গ্রামের কালীমন্দিরপাড়ায় বাঁশবাগান থেকে নবজাতক উদ্ধারের ঘটনায় আনসার সদস্য মো. ইমরান হোসাইনকে সংবর্ধনা ও পুরস্কার দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সালাম ইমরানের হাতে সম্মাননা স্মারক ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন।
জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে শারদীয় দুর্গাপূজায় ডিউটিতে ছিলেন আনসার সদস্য পিসি মো. ইমরান হোসাইন। ডিউটির একপর্যায়ে কালীমন্দিরপাড়ার বাঁশবাগান থেকে কান্নার শব্দ শুনে তিনি এগিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান-এক নবজাতক জীবিত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি নবজাতককে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুত শিশুটিকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন।
আরও পড়ুন
আদালত চত্বরে অপরাধ করে কেউ বের হতে পারবে না
জাতীয় ঈদগাহের সামনে দুটি ড্রামে পড়ে ছিল খণ্ডিত মরদেহ
ঘটনার স্মৃতিচারণ করে ইমরান হোসাইন বলেন, শিশুর কান্নার শব্দ শোনার পর এক মুহূর্ত দেরি করিনি। এটা আমার মানবিক দায়িত্ব ছিল। জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে সম্মাননা পেয়ে সত্যিই গর্বিত ও অনুপ্রাণিত।
আনসার সদস্যের এমন মানবিক সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, হোসাইন যেভাবে মানবিকতা ও সাহস দেখিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তার এই কাজ সমাজে মানবতার আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বদা এমন সৎ ও ইতিবাচক কাজের স্বীকৃতি দেবো।
অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ডেন্ট কামরুজ্জামান, গাংনী উপজেলা আনসার কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ইএআর/কেএসআর/এএসএম