‘আদালত চত্বরে অপরাধ করে কেউ বের হতে পারবে না’

আশিকুজ্জামান
আশিকুজ্জামান আশিকুজ্জামান , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৯ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

সোমবারের (১০ নভেম্বর) ঘটনা। ঢাকার নিম্ন আদালতে এক মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন আসামি তারিক সাঈফ মামুন (৫৫)। ফলে আদালত চত্বরে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত অনেকে।

আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক।

আদালত চত্বরে কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে জাগো নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জাগো নিউজের আশিকুজ্জামান আশিক

জাগো নিউজ: কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আদালত চত্বরে?

আশিস বিন হাছান: ঢাকার আদালত এলাকায় এখন এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রতিটি ফটক, ভবনের তলা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। বর্তমানে ৫১৪ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আদালতে অনুমোদিত যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফটকের দায়িত্বে থাকা সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা পালাক্রমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি মনিটর করছেন।

আরও পড়ুন:

আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে গুলিতে প্রাণ গেলো মামুনের
আদালতের নিরাপত্তা চেয়ে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি

জাগো নিউজ: কীভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে, বলবেন একটু?

আশিস বিন হাছান: দৃশ্যমান নিরাপত্তার পাশাপাশি আমাদের গোপন নজরদারি রাখছেন। আদালতের প্রতিটি ভবন, তলা ও সংবেদনশীল স্থান আমাদের মনিটরিংয়ের আওতায়। কেউ অপরাধ করে পালাতে পারবে না। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে পুলিশি পেশাদারত্ব ও সর্বোচ্চ সৌজন্যতা বজায় রেখে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রয়োজনে তল্লাশিও চালানো হচ্ছে।

জাগো নিউজ: অতিরিক্ত পুলিশ প্রয়োজন কি না?

আশিস বিন হাছান: নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য প্রয়োজন নেই। বর্তমান সদস্যরাই সমন্বিতভাবে কাজ করছেন। বিচারক, কর্মকর্তা-কর্মচারী বা আইনজীবীদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রয়োজন হলে সেই ব্যবস্থাও আমরা নিতে পারবো।

জাগো নিউজ: আদালতের বাইরের নিরাপত্তা নিয়েও সমন্বয় হচ্ছে কি না?

আশিস বিন হাছান: আদালতের বাইরের নিরাপত্তা নিয়েও সমন্বয় হচ্ছে। প্রতিদিন কোতোয়ালী থানাসহ আদালত এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। লালবাগ জোনের আশপাশের থানাগুলোর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য একটাই। আদালত এলাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখা। আদালত চত্বরে কোনো অপরাধ সংঘটিত করে কেউ যেন বের হতে না পারে, আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

এমডিএএ/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।