ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

৮০০ টাকা কেজি রান্না করা গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের হিড়িক

এমদাদুল হক মিলন | দিনাজপুর | প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

দিনাজপুরে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় এবং শহরের বিভিন্ন মোড়ে রান্না করা গরুর মাংস কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ ক্রেতাদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।

তবে রান্না করা গরুর মাংস কিনতে মানতে হবে শর্ত। মোবাইলে অর্ডার করে ১০০ টাকা বিকাশে অগ্রিম দিতে হবে। প্রতি শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই মাংস।

নভেম্বরের প্রথম শুক্রবার থেকে এই আয়োজন শুরু হয়েছে। প্রথম রান্না করা মাংস বিক্রি হয় বোচাগঞ্জ উপজেলায়।

দিনাজপুর শহরের লিলির মোড়, বাহাদুর বাজার মোড়, বালুবাড়ী শাহী মসজিদ মোড়, ছয় রাস্তার মোড়, পাটুয়াপাড়া মোড়, নিউটাউন স্টাফ কোয়ার্টার মোড়, কুয়েতি মসজিদ মোড়, সুইহারীর মোড়, বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌর শহরের পাতিলহাটি, সওদাগর পট্টি, মাটিয়া ব্রিজ এলাকায় রান্না করা গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলা শহরে রান্না করা মাংস কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

৮০০ টাকা কেজি রান্না করা গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের হিড়িক

উপশহর ৬ নম্বন ব্লকের ক্রেতা পারভেজ আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘এটা নতুন ধারণা। পরিবার থেকে এই রান্না করা মাংস নিতে বলেছে, তাই অর্ডার করেছিলাম। রান্না সুস্বাদু হলে আবারও আসবো।’

রান্না করা গরুর মাংস নিতে এসেছেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঢাকায় মেয়ের কাছে যাবো। মেয়ে ফেসবুকে দেখেছে দিনাজপুরে রান্না করা মাংস বিক্রি হচ্ছে। সে নিয়ে যেতে বলেছে। তাই দুই কেজি রান্না করা মাংস নিলাম।’

লিলির মোড়ে রান্না করা মাংস নিতে আসা নাহিদ বলেন, ‘রান্না করা মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শুনে মোবাইলে অর্ডার করেছিলাম। এখন নিয়ে যাচ্ছি। ঠিক বুঝতে পারছি না লাভ হবে, নাকি লোকসান হবে। কারণ শুধু তো মাংস নয়; তেল, মসলা, পানি আছে। তাদের পরিশ্রম ও জ্বালানি আছে—সব মিলিয়ে হিসাবটা মেলাতে হবে। তবে ধারণাটা সুন্দর।’

আরেক ক্রেতা মঈনুল হক বলেন, ‘বাজারে কাঁচা মাংস নিলে হাড় ও চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। রান্না করা মাংস নিলে এতে হাড় ও চর্বির পরিমাণ কম থাকে। এ মাংসের আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে এতে ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যায়। তাই আমি রান্না করা মাংস নিতে এসেছি।’

৮০০ টাকা কেজি রান্না করা গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের হিড়িক

নিউটাউন স্টাফ কোয়ার্টার মোড়ে রান্না করা গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোক্তা আরমান হোসেন। তিনি জানান, আজ দিয়ে তৃতীয় শুক্রবার রান্না করা মাংস বিক্রি করছেন। প্রথম শুক্রবার আধামণ মাংস রান্না করেছিলেন। পরে সাড়া পাওয়ায় দ্বিতীয় শুক্রবার পাঁচ মণ এবং আজ পাঁচ মণ মাংস রান্না করেছেন। পরিবারের লোকজন সবাই মিলে এই কাজ করছেন।

আরমান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত মোবাইলে অর্ডার নেওয়া হয়। যারা অর্ডার করেন তারা নামসহ বিকাশে অগ্রিম ১০০ টাকা পাঠান। বাকি টাকা মাংস নেওয়ার সময় দিতে হয়। এই মাংস বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার বেশ চলে যায়।

এসআর/এমএস